মাথার সামনের দিকে টাক? এই ৩ পাতার ‘জাদুতে’ বন্ধ হেয়ার ফল, গজাবে নতুন চুল!
পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ না করে ঘন রেশমির মত চুল পাওয়া সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর হল ‘হ্যাঁ’! সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে এবং উপযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেই চুল বেশ ভালো থাকবে। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যেগুলি চুলের জন্যে উপকারী ভূমিকাপালন করে। যেমন, হাতের নাগালে পাওয়া যায় পরিচিত এমন কয়েকটি পাতা, যেগুলি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি চুল পড়া কমায় আর তো আর চুলের জেল্লাও বাড়ায়! জানা আছে সেই সব পাতার নাম? আজ এমনই ৩ পাতা এবং তাদের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেবো।
জবা পাতা(Hibiscus Leaves)
জবা পাতা আমার সকলেই চিনি, হাতের নাগালে পাওয়া এই জবা পাতায় উপকারি গুন রয়েছে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জবা ফুল এবং জবার পাতার নির্যাস। এছাড়া জবা ফুলে প্রচুর পরিমাণে ‘ভিটামিন সি’ রয়েছে, যা স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া জবা ফুল গাছের পাতায় বিটা ক্যারোটিনেরও সন্ধান মেলে। আর এই উপাদান চুলের জেল্লা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে।
জবা পিতা কিভাবে ব্যবহার করবেন?
পরিমাণ মতো জবা পাতা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। আর জবা ফুলের পাপড়িগুলি ছাড়িয়ে নিনে এই দুই উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। আবার এর সঙ্গে পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে হেয়ার মাস্ক। ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
কারি পাতা(Curry Leaves)
কারি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, এই উপাদান চুলের উপকারে লাগে। প্রোটিন ও বিটা ক্যারোটিনও রয়েছে এই পাতায়। অতিরিক্ত চুল পড়লে কমিয়ে দেবে। তাছাড়া কারি পাতায় উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড হেয়ার ফলিকলকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
করি পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন?
পরিমাণ মতো আমলকি ও মেথির দানার সাথে কারি পাতা নিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন হেয়ার মাস্ক। প্রথমে একটি কাঁচের তৈরি পাত্রে আধ কাপ পরিমান কারি পাতা ও আধ কাপ মেথি দানা নিয়ে নিন। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন আমলকির। এবার ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে নেবেন। ব্যাস তৈরি আপনার হেয়ার মাস্ক। এটি আপনার চুলে লাগিয়ে মিনিট ৩০ পর শ্যাম্পু করে নিলেই হয়ে গেলো।
কেশুতি পাতা(Keshraj Leaves)
চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান কেশুতি পাতার জুড়ি মেলা ভার। কেশুতি পাতার গুণাগুণের উল্লেখ মেলে ‘কমপ্লিট বুক অফ আয়ুর্বেদিক হোম রেমেডিস’ বইতে। অতিরিক্ত চুল উঠলে তা বন্ধ করে দেয়।
স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখে এবং খুশকির সমস্যাও কমাতে ভূমিকা নিয়ে থাকে।
চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে বিশেষ ভূমিকা নেয় কেশুতি পাতা
আপনি ব্যবহার করতে পারেন কেশুতি পাতা অথবা ভৃঙ্গরাজের তেল । এছাড়াও কেশুতি পাতা বেটে সেই রস চুলের গোড়ায় ও স্ক্যাল্পে লাগালেও উপকার মেলে।
ভৃঙ্গরাজের তেল তৈরি পদ্ধতি
প্রথমে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিয়ে হালকা থেকে মাঝারি আঁচে গরম করতে হবে। এর পর এর সঙ্গে মেশাতে হবে কেশুতি পাতা। এবার মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ ফুটাতে হবে, ধীরে ধীরে তেলের রং বদলাতে শুরু কবলে আঁচ বন্ধ করে নামিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা হলে পরে ব্যবহার করুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করলেই যথেষ্ট, মিলবে উপকার।
আরও পড়ুন,
*Shaitaan: বক্স অফিসে ‘কালা জাদু’ করেছে শয়তান! ২১ দিনে কালেকশন ১৩৪.২৫ কোটি
*Hair Care: নখে নখ ঘোষলে সত্যিই কি চুল ঝরা বন্ধ হয়? টাকে চুল গজয়? জানুন