সমাজে নারীর তুলনায় পুরুষের বিয়ে হয় একটু বেশি বয়সে। সমাজের প্রচলিত ধারণা বলে, পুরুষ তার নিজের পেশাদার জীবনে সফল ও স্বাবলম্বী হওয়ার পর বিয়ে করলে তা সুখের হয় নিজের জন্য। তবে সাধারণত নারীর তুলনায় পুরুষের আয়ু কম হয়। এর কারণ কী? এক সমীক্ষার পর আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সঠিক সময়ে বিয়ে করলে পুরুষের আয়ু বাড়তে পারে।
কারণে সমাজের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী ছেলেদের একটু দেরি করে বিয়ে করা ভালো। নিজের বয়সের তুলনায় অনেক কম বয়সের মেয়েকে বিয়ে করলে সুখী হবে তারা। তবে বিয়ে নিয়ে যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাতে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে সম্পর্কে।
বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন কতটা সুখী হবে তা নির্ভর করছে সঙ্গীর উপর। আর এই সুখ ও শান্তির আড়ালেই রয়েছে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার ইচ্ছে। যদি কোনো মানুষ নিজের জীবনযাপনে সুখী হন তবে তার আয়ু বারবে ততটাই। এমনই বলা হয়েছে সমীক্ষায়।
সমীক্ষা অনুযায়ী, মেয়েদের মতন ছেলেরা কম বয়সে বিয়ে করলে সুখে থাকার সম্ভাবনা বেশি হয়। এর কারণ হিসেবে গবেষকেরা জানিয়েছেন, বয়স যত কম থাকবে মনের মতন সঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা ঠিক ততই বাড়বে।
ছেলেরা যদি ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেন তবে মনের মতন সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে। মনের মতন সঙ্গী পেলে বিবাহিত জীবন সুখের হয়। বিয়েও বেশিদিন টিকে থাকে এবং বাঁচার ইচ্ছে জন্মায়।
FAQ
১. প্রশ্ন: পুরুষের আয়ু সাধারণত নারীর তুলনায় কম হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: গবেষকদের মতে, পুরুষরা সাধারণত বেশি মানসিক চাপ, কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি, অসংযত জীবনযাপন, এবং চিকিৎসার প্রতি উদাসীনতার কারণে তুলনামূলক কম বয়সে মারা যান। এছাড়া সামাজিকভাবে পুরুষদের ওপর দায়িত্ব বেশি চাপানো হয়—যা তাদের আয়ু কমানোর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়।
২. প্রশ্ন: হার্ভার্ডের সমীক্ষা অনুযায়ী, সঠিক সময়ে বিয়ে করলে কীভাবে পুরুষের আয়ু বাড়তে পারে?
উত্তর: সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সঠিক সময়ে বিয়ে করলে পুরুষ মানসিকভাবে স্থিরতা, সঙ্গীর সহায়তা, এবং জীবনের প্রতি আরও আগ্রহ লাভ করেন। দাম্পত্য সুখ মানসিক স্বাস্থ্য, দৈনন্দিন অভ্যাস, ও জীবনযাত্রাকে উন্নত করে—যা আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. প্রশ্ন: কেন প্রচলিত ধারণায় বলা হয় ছেলেদের দেরিতে বিয়ে করা ভালো?
উত্তর: প্রচলিত ধারণা হলো, পুরুষ পেশাগত ও আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হয়ে গেলে সংসার সামলানো সহজ হয়, এবং তাই দেরিতে বিয়ে করা নাকি তাদের জন্য ভালো। তবে সমীক্ষা বলছে, বয়সই এখানে মূল বিষয় নয়—বরং সম্পর্কের গুণমানই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৪. প্রশ্ন: সমীক্ষা অনুযায়ী, কম বয়সে বিয়ে করলে পুরুষের সুখে থাকার সম্ভাবনা কেন বাড়ে?
উত্তর: গবেষকদের মতে, কম বয়সে বিয়ে করলে মানুষ নিজের মনমতো সঙ্গী বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সম্পর্কটি সময়ের সঙ্গে আরও পরিণত ও গভীর হয়, যা দাম্পত্য সুখ বাড়ায় এবং মানসিক শান্তি এনে দীর্ঘায়ুর দিকে সাহায্য করে।
৫. প্রশ্ন: কেন ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করা পুরুষের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনে করা হয়েছে?
উত্তর: সমীক্ষা বলছে, ২৫ বছর বয়সে মানুষ পরিণত হওয়ার পথে থাকে, আবার মানসিকভাবে নমনীয়ও থাকে। এই বয়সে সঠিক সঙ্গী পাওয়া ও সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ বেশি থাকে। ফলে বিবাহিত জীবন দীর্ঘস্থায়ী, শান্তিপূর্ণ ও সুখী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।