বিশ্ব জুড়ে এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন। অতিরিক্ত কাজের চাপে মানসিক শান্তি যেমন নষ্ট হয় তেমনই স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটে। আর তা থেকে জন্ম নেয় হতাশা। আর এরফলে অনেকেই মৃত্যুর পথ বেছে নেন। মানুষের মধ্যে এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে। কিন্তু এবার কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলো রোবট।
আর এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব। মানুষ কাজের চাপ নিতে না পারলে আত্মহননের পথ বাছলেও এবার সেই জায়গায় যুক্ত হলো একটি মেশিন। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, গত একবছর ধরে রোবটটি দক্ষিণ কোরিয়ার গুমি সিটি কাউন্সিল অফিসে কাজ করছিল। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কাজ করত রোবটটি।
রোবটটির কাজ ছিল সিটি কাউন্সিল অফিসে নথি পৌঁছে দেওয়া এবং তথ্য সরবরাহ করা। এর পাশাপাশি কর্মী হিসেবে রোবটটির ছিল পরিচয় পত্র। রোবটটি অফিসের সব জায়গায় যাতায়াত করত। এবার সেই রোবটটি আত্মহত্যা করেছে। আর এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আচমকা সিঁড়ি থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে রোবটটি। এর ফলে রোবটের দেহের একাধিক অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, রোবটটি আত্মহত্যা করার আগে এক জায়গায় ঘোরাফেরা করছিল। যেনো কিছু একটা ভুল হয়েছে মনে হচ্ছিল। তবে রোবটটির সবকিছু পরীক্ষা করা হবে। রোবটটি প্রায় এক বছর ধরে রোবটটি গুমি শহরের বাসিন্দাদের প্রশাসনিক কাজে সাহায্য করছিল। গত সপ্তাহে এটিকে সিঁড়ির নীচে অচেনতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই রোবটটি তৈরি করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টার্টআপ ‘বিয়ার রোবোটিক্স’। আত্মহত্যার প্রসঙ্গ উড়িয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছন, সম্ভবত রোবটের সেন্সরে কোনো সমস্যা হয়েছে। আর তার ফলে এটি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। রোবটেট এই ঘটনায় সিটি হলের কর্মীরা ভেঙে পড়েছেন।