গত সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যু হয় জুবিন গর্গের। তারপর অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। তার মৃত্যুতে উঠে এসেছে নানান রহস্য। অবশেষে অসম সরকারের তরফে গঠন করা হয়েছে SIT। অসম পুলিশ ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে৷ ধৃতদের উপর দিন চারেক আগে হামলার ঘটনা ঘটে। আর সেই ঘটনায় এবার জুবিনের কয়েকজন অনুরাগীকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশ। অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বক্সা জেলার ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।
জুবিনের মৃত্যুর তদন্তে গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় গুয়াহাটির আদালত। আদালতের নির্দেশ মতন ওই পাঁচজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বক্সার জেলে। অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সেসময় বক্সার জেলে যাওয়ার পথে পুলিশের কনভয়ের উপর হামলা চলে। উন্মত্ত জনতা পুলিশের কনভয়কে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে শুরু করে। সেই জনতারা দাবি করেন অভিযুক্তদের তাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
বিনোদন
‘অপারেশনের পরও …’ — ভক্তদের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তা দিতিপ্রিয়া রায়ের, পাশে দাঁড়ালেন জিতু কমল
এরপর উন্মত্ত ওই জনতা অথবা প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের অনুরাগীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের৷ তারা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুঁড়তে থাকে। এর পাশাপাশি জেলের বাইরে থাকা কয়েকটি গাড়িতে দিয়ে দেওয়া হয় আগুন। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। উন্মত্ত জনতাকে প্রতিহত করতে ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাস। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।
ধীরে ধীরে শুক্রবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এই ঘটনায় আসামের বক্সার জেলার সিনিয়র পুলিশ সুপার উজ্জ্বলপ্রতিম বড়ুয়া জানিয়েছেন, গত তিন দিনের যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে গিয়েছে তাতে নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে বর্তমানে তল্লাশি চলছে। তিনি আরও বলেন, “জ়ুবিনের অনুরাগীর ছদ্মবেশে আসলে যাঁরা হিংসায় উস্কানি দিয়েছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় জ়ুবিনের প্রকৃত ভক্তদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিছু অভিযুক্ত পলাতক। তবে আমরা শীঘ্রই তাঁদের গ্রেফতার করব।”
বিনোদন
‘আজ এক মাস হল, শেষ মুহূর্তে জ়ুবিনের সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল? আবেগঘন পোস্টে পাপনের
#Assam #ZubeenGarg