১৭ নাকি ১৮ সেপ্টেম্বর, কবে বিশ্বকর্মা পুজো? কী বলছে পঞ্জিকা? জানুন পুজোর সঠিক তারিখ ও নিয়ম

চলতি বছরে কোন দিন বিশ্বকর্মা পুজো তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। প্রযুক্তি বিদ্যার দেবতা হলেন বিশ্বকর্মা। তিনি স্থাপত্যবেদ, উপবেদ ও চতুঃষষ্টিকলার প্রকাশক। এর পাশাপাশি পুরাণে বলা আছে যমপুরী, পুষ্পক বিমান, কুবেরপুরী ও দ্বারকানগর তৈরি করেছেন বিশ্বকর্মা। এই দেবতার আরাধনা করার মধ্যে দিয়ে প্রযুক্তি বিদ্যার আরও অগ্রগতি চাওয়া হয়৷ তবে চলতি বছরের বিশ্বকর্মা পুজো ১৭ই সেপ্টেম্বর নাকি ১৮ই সেপ্টেম্বর তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। চলতি বছরে বিশ্বকর্মা পুজো ১৭ই সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বাংলার ৩১শে ভাদ্র মঙ্গলবার। বিশ্বকর্মাকে সঠিকভাবে পুজো করলে ভালো ফল মেলে। তাই তাকে পুজো করার সঠিক নিয়মগুলি জেনে নিন-

১. ফুল দিয়ে বিশ্বকর্মাকে আরাধনা করতে হবে। তবে সাদা ফুল বিশ্বকর্মা গ্রহণ করেন তাই তাকে সাদা ফুল দিলেই ভালো।
২. এই পুজোয় ধুপ, দীপ, পৈতে ও জল লাগবে। এর পাশাপাশি রাখতে হবে চন্দন।
৩. এদিন বাড়িতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি এবং রান্নাঘরে ব্যবহৃত জিনিস কাউকে ধরতে দেবেন না।
৪. জ্যোতিষবিদদের কথায়, পুজোর দিন অচেনা কারোর থেকে খাবার নিয়ে ঘরে রাখতে নেই। এরফলে ঘরে একাধিক নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ ঘটে।
৫. এদিন বাড়িতে থাকা সমস্ত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা উচিত। এরপর সেগুলিকে ভালো করে পরিষ্কার করার পর তেল মাখিয়ে বিশ্বকর্মার সামনে রাখুন। এর ফলে যন্ত্রপাতিগুলিও ভালো থাকে।
৬. বিশ্বকর্মা পুজোয় কপালে টিকা লাগানো জরুরী। এর ফলে ভগবানের সামনে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি রাখা হয়।
৭. এর পাশাপাশি বিশ্বকর্মা পুজো শেষ হওয়ার পর পুজের প্রসাদ সকলকে বিতরণ করা উচিত।

আরও পড়ুন,
অন্যের সংসার ভাঙা থেকে শুরু করে বিয়ের আগেই সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়া! জানুন শ্রীদেবীর সমালোচিত জীবন সম্পর্কে

এইসব নিয়ম মানলে দেবতা তুষ্ট হন। এর পাশাপাশি জীবনে অনেক ইতিবাচক শক্তির উদয় হয়।

error: Content is protected !!