বর্তমানে উদ্বেগ ছড়িয়েছে নতুন এক ভাইরাস। শোনা যাচ্ছে, বর্তমানে এই এইচএমপিভি ভাইরাস চিনে হানা দিয়েছে। আর এরফলে সেখানের পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে যথেষ্ট উদ্বেগজনক। চিনের এমন পরিস্থিতির কথা জানার পর গোটা বিশ্বের একাধিক দেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই ভাইরাস নতুন কোনো ভাইরাস নয়, তাই এটি নিয়ে উদ্বেগ হওয়ার কোনো বিষয় নেই বলেই এক ভিডিওর মাধ্যমে দেশবাসীকে বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা।
তিনি জানান, এইচএমপিভি ভাইরাস প্রথম শনাক্ত করা গিয়েছে ২০০১ সালে। বিশ্বে বহুবছর ধরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভারতের কোনও অঞ্চলে শ্বাসজনিত ভাইরাল প্যাথোজেন বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যায়নি। যদিও সম্প্রতি চিনের কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর তারপর থেকেই উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। চিনের পার্শ্ববর্তী দেশেও নতুন ভাইরাসটি নিয়ে চিন্তার ভাজ পড়ে গিয়েছে কপালে।
এরই মাঝে সোমবার ভারতে পাঁচ শিশুর শরীরে এইচএমপিভি ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, চিনে যে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে তার সঙ্গে ওই শিশুদের দেহে পাওয়া ভাইরাসটি কোনও যোগ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ওই ভিডিওতে বলেন, যে কোনও বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। শীতকালে এবং বসন্তের শুরুর দিকে এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে বলেও জানান তিনি।
এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, বস্তুত, চিনও সেখানে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণকে একটি ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছে। চিনের উপর সবসময় নজর রাখছে কেন্দ্র। এর পাশাপাশি আশেপাশের দেশগুলির উপরও নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে শীঘ্রই ওই ভাইরাসটি সম্পর্কে তথ্য পাঠানো হবে ভারতকে, এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা।
এখনও পর্যন্ত পাঁচ শিশুর শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুই শিশুর শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। দু’জনের বয়স ৭ ও ১৩ বছর। এরপর কর্ণাটক, গুজরাট ও তামিলনাড়ুতে মিলেছে এই ভাইরাস। এছাড়া মুম্বাই থেকে কলকাতায় আসা এক শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। তবে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন,
*‘বিনোদিনী’র হাত ধরে পার্টিতে হাজির ‘খাদান’এর শ্যাম! ভাইরাল ভিডিও