Chanakya Niti: জীবনে চলার পথে আমরা যদি কিছু নীতিবাক্য মেনে চলি তবে চলার পথ আমাদের অনেক সুগম হয়। তাই আমাদের প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে ছিলেন এমন কিছু মানুষ যাদের আজও শ্রদ্ধা করা হয় এবং তাদের লিখিত নীতিবাক্য আজও মানুষ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে চান। তেমনই একজন হলেন চাণক্য। তার নীতিবাক্য আজও মানুষের কাছে সমানভাবে সমাদৃত।
চাণক্যর মতে(Chanakya Niti) আমাদের প্রতিটি দিন দুঃখে ভরা। আজ যেমন আছি আগামীকাল তেমন থাকবো তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি দৃঢ় ইচ্ছে রাখে তিনি ভালো থাকেন। তাদের কোনোপ্রকার দুশ্চিন্তা থাকে না। আরং তাদের শুধু গন্তব্যের দিকে নজর থাকে।
অনেকসময় কঠিন সময়ে অনেকেই তাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়। এটি হয় শুধুমাত্র তাদের লক্ষ্য দৃঢ় না হওয়ার জন্য। চাণক্য বলেন, এমনকি গন্তব্যগুলি দৃঢ় ইচ্ছেশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে পথ খুঁজে পায়। তারাই এই সমস্যাকে অতিক্রম করতে ও সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে সমর্থ হয়।
প্রতিটি ধর্মে দানের কথা বলা হয়েছে। গোপন দান সবথেকে মহৎ দান। যে দান কোনোরকম স্বার্থ ছাড়াই অপরকে সাহায্য করার জন্য করা হয়। যিনি দান করেন তিনি দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পান। মন্দিরে দান করলে সমৃদ্ধি ও সুখ মেলে। এর পাশাপাশি যিনি দরিদ্র ও অসহায় কোনো ব্যক্তিকে দান করেন তিনি জীবনে নাম ও যশ লাভ করেন।
চাণক্য বলেছেন, যদি কোনো অভাবী মানুষ আপনার বাড়িতে আসে তাকে খালি হাতে ফেরাবেন না। মানুষের সবচেয়ে কঠিন গুণ হলো ধৈর্য্য। কারণ এটি সবাই আয়ত্ত করতে পারে না। যারা দুর্বল সংকল্পের হন ও মনোবলের দিক থেকে কম দৃঢ় হন তাদের নানান সমস্যায় ভীত হয়ে পড়তে দেখা যায়। তাই যদি ধৈর্য্য থাকে তাহলে সেই ব্যক্তিকে এক সময়ে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যায়।
তাই চাণক্য বলেন, একজন ব্যক্তিকে তার সবচেয়ে কঠিন সময় ধৈর্য্য ধরতে হবে। এর পাশাপাশি নম্রতা এমন এক গুণ যাতে রয়েছে সহনশীলতা, দয়া, দানশীলতা, সুখ, প্রেম, কথাবার্তা, ভালো ব্যবহার, স্বভাব ইত্যাদি। এগুলি থাকলে একজন ব্যক্তি সফল হতে পারেন। তাই নমর্তার গুণ এক মহৎ গুণ। একজন ব্যক্তির মধ্যে বিনয়ী স্বভাব না থাকে তবে বেশিদিন সে সাফল্যের শীর্ষে থাকতে পারে না৷