স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত তালিকায় নাম না থাকার অভিযোগে সোমবার ফের উত্তাল বিকাশভবন। রাজপথে নেমে প্রতিবাদ জানালেন নতুন SSC চাকরিপ্রার্থীরা। শুধু তালিকা প্রকাশের অসঙ্গতি নয়, আন্দোলনকারীরা রাজ্য সরকারকে তিন ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন। ঠিক এই উত্তেজনা-উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই বড় বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ইঙ্গিত দিলেন, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক শূন্যপদ আরও বাড়তে পারে।
চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষোভে ফুঁসছে শহর
এসএসসির নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগের প্রকাশিত তালিকা দেখে মাথায় হাত চাকরিপ্রার্থীদের। অনেকের অভিযোগ, ৬০-এর মধ্যে ৬০ নম্বর পাওয়ার পরও ইন্টারভিউ ডাকা হয়নি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, “তাহলে স্বচ্ছতা কোথায়?”
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর বাদ দেওয়ার দাবিও তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ—”সঠিক মেধা তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় বহু যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হচ্ছেন।”
শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা: “কেউ বঞ্চিত হবেন না”
এই আবহেই সোমবার মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানান—
> “নতুন বা পুরনো—সব প্রার্থীকে অনুরোধ করব সময় দিন। প্রক্রিয়া চলছে, তা সম্পূর্ণ হতে দিন। আমরা চাই না একজন যোগ্য প্রার্থীও বঞ্চিত হোক।”
মন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, শিক্ষক নিয়োগে পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাজ চলছে। যদি কারোর কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে সরাসরি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাতে পারেন।
শূন্যপদ বাড়ার সম্ভাবনা!
সবচেয়ে বড় দিক—ব্রাত্য বসু ইঙ্গিত দিলেন, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর শূন্যপদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক স্তরে আলোচনাও চলছে বলে জানান তিনি। তবে আইনি পরামর্শ ছাড়া এ মুহূর্তে বিস্তারিত জানাতে রাজি নন শিক্ষামন্ত্রী।
এই বার্তায় কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা মনে করছেন, শূন্যপদ বাড়লে নতুন করে আরও বহু প্রার্থী ইন্টারভিউ বা মেরিট লিস্টে সুযোগ পেতে পারেন।
আরও পড়ুন
Document Recovery: SIR শুরু, হারানো আধার কার্ড অথবা ভোটার কার্ড কীভাবে ফেরত পাবেন? জানুন
শেষ পর্যন্ত কি হবে? নজর রাজ্যের সিদ্ধান্তে
শিক্ষামন্ত্রী যেমন আশ্বাস দিয়েছেন, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ তাঁর মন্তব্য—
> “যে কোনও নিয়োগেই স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাজ চলছে।”
যদিও প্রার্থীদের অভিযোগ এখনও বহাল। আন্দোলনও থামার লক্ষণ নেই। এখন দেখার বিষয়—শূন্যপদ সত্যিই বাড়ানো হয় কি না, এবং তাতে কতজনের চাকরির দুয়ার খুলে যায়।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ ইস্যু তাই আবার জনমানসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সরকারের আশ্বাস আর চাকরিপ্রার্থীদের চাপ—দুইয়ের মাঝে এখন অপেক্ষা শুধুই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের।