গোটা বাংলাদেশ জুড়ে চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গণভবন লুঠ, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা উঠে আসছে। এই আবহে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে এবং বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আসছে একের পর এক অশান্তির খবর।
এরই মাঝে শোনা গেলো আরেক দুঃসংবাদ। বাংলাদেশের চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তাঁর ছেলে অভিনেতা শান্ত খানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের সঙ্গে টলি পাড়ার অনেকেরই যোগাযোগ ছিল। টলিউডে তার বেশ কিছু কাজ করার কথা ছিলো।
এর পাশাপাশি তার ছেলে শান্ত খানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন কৌশানী মুখার্জি। ‘পিয়া রে’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন তারা। তার মৃত্যুর খবী শুনে অবাক হয়েছে কৌশানী। তার কথায়, “আমি বিশ্বাস করতে পারছি না এটা সত্যিই হয়েছে।”
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, সোমবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনরোষের মুখে পড়েন ছেলে ও বাবা৷ সেখানে কোনোরকমে রক্ষা পেলেও বাগাড়া বাজারে এসে ফের জনতার মুখোমুখি হতে হয়। সেখানেই গণপিটুনিতে নিহত হন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
শান্ত খান কৌশানীর সঙ্গে ‘পিয়া রে’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তাদের সমস্ত কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কৌশানীর কথায়, “আমার সঙ্গে ছাড়াও টলিউডের অনেকেরই শাপলা মিডিয়ার সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। শান্তর চাঁদপুর এলাকার নিজের একটা রাজত্ব ছিল। আমি ওখানে যাওয়ার পর ঢাকা ঘোরানো থেকে সিম কার্ড সংগ্রহ, সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। মানুষকে ভালবাসত। আমি যে হেতু অভিজ্ঞতায় বড়, আমার থেকে নানা উপদেশ নিত। আমি ভাবতেই পারছি না এমন।”
আরও পড়ুন,
*রামকৃষ্ণ মিশন পাহারায় বাংলাদেশের মুসলিম ভাইয়েরা! পড়শিদের নিয়ে কী লিখলেন ঋদ্ধি-পরমব্রত