ফের দেশে এইচএমপি ভাইরাসের হদিশ মিলল। অসমে ১০ মাসের এক শিশুর শরীরে পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাস। যদিও অসমে এই ভাইরাস নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার এইচএমপি ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে ২০২৫ সালে এটিই প্রথম বলে জানিয়েছেন অসমের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত করা হয় এই ভাইরাস।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে দেখা যায় পাঁচ বছর বয়সী কিংবা তার কম বয়সী শিশুদের। চলতি বছরের ৭ই জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের শরীরে এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে।অসমের শিশুটিকে চার দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার সর্দি, কাশি ও জ্বর ছিল। এরপর শুক্রবার তার এইচএমপি পরীক্ষা করা হয়৷ এবং সেই পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল আসে।
যদিও অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশোক সিংহল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বছরের শুরুতে এইচএমপি ভাইরাসের খোঁজ প্রথম মেলে দক্ষিণ ভারতে। কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে খোঁজ পাওয়া যায় এই ভাইরাসের।
এরপর গুজরাত, নাগপুর ও কলকাতাতেও শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। যদিও চিকিৎসকেরা প্রথম থেকেই জানিয়েছেন, এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। সাধারণ জ্বর, সর্দি ও কাশির মতন কিছু উপসর্গ থাকে যা নিয়মিত ওষুধে খাওয়ার ফলে ঠিক হয়ে যায়।
আরও পড়ুন,
*মকর সংক্রান্তিতে কী কী করলে ভাগ্য আপনার সঙ্গে থাকবে? মেনে চলুন এই দশ টোটকা