সুগারের রোগীদের কমলালেবু খাওয়া কি আদৌ চলে?

মরসুমি ফল সবারই প্রিয়জনক একটা খাবার। কিন্তু, ডায়াবেটিস থাকলে খাবারের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে চলতে হয়। শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা, তা নিয়মিত চেক আপ করা অবশ্যই দরকার। সেক্ষেত্রে, মনে প্রশ্ন থাকে, সুগারের রোগীদের কমলালেবু খাওয়া কি আদৌ চলে?

কমলালেবুও ‘ডায়াবেটিস ফ্রেন্ডলি’

অনেকেরই ধারণা, কমলালেবু মিষ্টি হওয়ায় সুগারের রোগীরাতা খেতে ইচ্ছা করলেও তা খেতে পারেনা। কিন্তু, সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আসলে কমলালেবুও ‘ডায়াবেটিস ফ্রেন্ডলি’ খাবার৷ তবে ইচ্ছামতো যত খুসি খাওয়া যাবে কি? আসুন জানা যাক। এ বিষয়ে কী জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন কমলালেবুর glycaemic index (GI) ৪০-৪৩৷ অর্থাৎ, বেশ কমই।

আরও পড়ুন,
*বিরাট কোহলির চেয়ে অনুষ্কা শর্মা বয়সে কত বড়?

অর্থাৎ, কমলালেবু খেলে সাথে সাথে কার্বোহাইড্রেট বা সুগার আমাদের রক্তে মেশে না, মিশতে কিছুটা সময় লাগে৷ কারণ, কমলালেবুর মধ্যে থাকে ফাইবার৷ এর ফলে তা হজম করতে বেশ কিছুক্ষন সময় লাগে৷ তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই শ্রেয়৷ তবে মানতে হবে শর্ত৷ বিশেষজ্ঞেরা, সুগারের রোগীদের গোটা কমলালেবু খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন, কমলালেবুর রস নয়। কারণ, কমলালেবুর রস খাওয়াতে প্রয়োজনীয় ফাইবারই নষ্ট হয়ে যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় দ্রুত। এছাড়াও, শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে যাঁরা নিয়মিত ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন, তাঁদেরও কমলালেবু খাওয়া উচিত নয়৷

এছাড়া কমলালেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, ফোলেট, পটাশিয়াম এবং ফ্ল্যাভেনয়েড অ্যান্টি অক্সিডেন্ট৷ যা হ্যার্টের জন্য খুবই ভালো৷ এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখে। তবে, যে সকল ব্যক্তির সোডিয়াম-পটাশিয়াম ভারসাম্য নিয়ে সমস্যা আছে, তাঁদের এই ফল না খাওয়াই শ্রেয়৷

কিডনির সমস্যা কমলালেবু না খাওয়াই শ্রেয়

এমনকি যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু কমলালেবু বিষের সমান৷ অন্যদিকে, পেটের সমস্যা থাকলে, যেমন GERD, তাঁদের ক্ষেত্রে, আবার কমলালেবু খেলে হার্ট বার্ন, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা লক্ষণীয়।

কমলালেবু না খাওয়াই শ্রেয় কাদের ক্ষেত্রে

*যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে।
*যে সকল ব্যক্তির সোডিয়াম-পটাশিয়াম ভারসাম্য নিয়ে সমস্যা আছে।

Disclaimer: উপরে উল্লেখিত পরামর্শ সাধারণ তথ্যের উপরে ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে৷ এটি কখনওই কোনো চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়৷ প্রতিটি মানুষের শরীর এবং তাঁদের চাহিদা ও সমস্যা আলাদা হয়৷ তাই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ এই তথ্যের সত্যতা Sangbadbhavan নিশ্চিত করে না৷

আরও পড়ুন,
*ত্বকের পরিচর্যা হোক কিংবা চা তৈরি- হেঁশেলের একগুচ্ছ কাজ মুহূর্তে সহজ করতে পারে কমলালেবুর খোসা, জেনে রাখুন
*এই শীতেও ঠান্ডা জলে স্নান করছেন? অজান্তে নিজের কোন ক্ষতি করছেন না’তো