গ্রীষ্মকাল কারোরই পছন্দ নয়। তবে একটিমাত্র খাবারের কথা ভাবলে এই গরমকেও সহ্য করে নেন সাধারণ মানুষ। আর সেই খাবার হলো পাকা আম। পাকা আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের কিন্তু এই আম খাওয়ার আগে দশবার ভাবতে হয়। কারণ, আমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা তাদের ডায়াবেটিসকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
তবে চিন্তা নেই ডায়াবেটিস রোগীদের আম খাওয়ার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেগুলি মেনে চললে আপনার কোনো শারীরিক ক্ষতি হবে না। আমরা সকলেই জানি যে ডায়াবেটিসে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হয় ডায়াবেটিস রোগীদের। কিন্তু আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫১।
এছাড়াও এতে রয়েছে গ্লুকোজ এবং ফ্রক্টোজের মতোন শর্করা। ফলে এটি খেলে সুগার লেভেল বেড়ে যায়। পাশাপাশি এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ও রয়েছে। কারণ, একটি আমেই ১৫০ ক্যালোরি থাকে। তবে আমের কিন্তু গুণাগুণও রয়েছে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই। রয়েছে ক্যালসিয়াম যা মেটাবলিজমে সাহায্য করে এবং অস্টিওপোরেসিস, হাড় ক্ষয়ের সম্ভাবনা কমায়।
এখানেই শেষ নয়, আম খেলে কোলাজেন গঠন হয় এবং ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার শরীরকে নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। যার দ্বারা এটাই স্পষ্ট যে আম খাওয়ার একাধিক ভালো গুণ রয়েছে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে সেগুলি হলো-
আপনাদের দিনে একটি মাঝারি সাইজের পাকা আম খেতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে সেটি সকালে খাওয়ার। কারণ, এতে হজমের জন্য অনেকটা সময় পাওয়া যায়। আরো একটি বিষয় হলো পাকা আম খাওয়ার সময় তার সাথে কম ক্যালোরি ও শর্করাযুক্ত খাবার খাবেন। পাকা আমের সাথে টক দই খেতে পারেন। যেদিন আম খাবেন সেদিন অন্য কোনো মিষ্টি খাবার খাওয়া চলবে না।
আরও পড়ুন,
*Mango: আম দেখলেই খেতে মন চায়, নিয়ম মানছেন তো?
*বুড়ো বয়সেও যৌবন থাকবে যুবকের মত! বিছানায় করুন এই কাজ