গরম কাল মানেই আমের সমারোহ। এইসময় বিভিন্ন প্রজাতির আম বাজারে বিক্রি হয়। হিমসাগর, ফজলি, আম্রপালি, ল্যাংড়া একাধিক প্রজাতির আম বাংলায় বেশ বিখ্যাত। একবছর পর এই আমের দেখা পাওয়া যায় তাই জনপ্রিয় একটি ফল এটি। আমের মরশুম শুরু হতেই অনেকেই সকালে খাচ্ছেন আম, দুপুরে খাওয়ার পর আম খাচ্ছেন৷
রাত্রে কিংবা সন্ধ্যা বেলায় আম খাওয়া চলছে। দিনের বেশিরভাগ সময় অনেকেই আম দিয়েই খাওয়া সারছেন। আম একটি উপকারী ফল। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে-এর মতো উপাদান। ফাইবার, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ একটি ফল এটি। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এতে করে অনেকের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অত্যাধিক আম খেলে নানান শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে। অত্যাধিক পরিমাণে আম খেলে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের আম বেশি খাওয়া হলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। যাদের গ্যাস-অম্বল, বুকজ্বালা, পেটফাঁপার সমস্যা রয়েছে তাদের অতিরিক্ত আম খাওয়া উচিত নয়৷
চিকিৎসকেরা তাদের অতিরিক্ত আম খেতে নিষেধ করেন। এর কারণ হিসেবে চিকিৎসক শুভম সাহা বলেন, “গ্যাস-অম্বলের রোগীদের জন্য আম খাওয়া ঠিক নয়। কারণ আমে থাকা ফ্রুক্টোজ়, সুক্রোজ় অনেকেরই সহ্য হয় না। কারও ‘ফ্রুক্টোজ় ইন্টলারেন্স’ থাকতে পারে।”
এরপর তিনি আরও বলেন, “তাই আমের মরসুম বলেই প্রচুর আম খেয়ে নিতে হবে, এমন ভাবনা ঠিক নয়। শরীরের খেয়াল রেখেই আমের স্বাদ নেওয়া ভাল।” চিকিৎসকদের মতে খালি পেটে আম না খাওয়াই ভালো। আম খাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে আমটি জলে ভিজিয়ে রাখলে ভালো। আমে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি তাই সেটি দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে না খাওয়াই ভালো বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন,
*Nita Ambani: জিম, ডায়েট না করেই কিভাবে এমন ছিপছিপে নীতা আম্বানি?
*পৃথিবীর কোন দেশে ১ টিও সাপ নেই