গত ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে গিয়েছে এক নারকীয় ঘটনা। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতের কাশ্মীরে ঢুকে পহেলগামে পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করে। আর এই হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারায় ২৬ জন নাগরিক। আর এরপরই পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে ভারতের তরফে সিন্ধু জল চুক্তি আপাতত রদ করা হয়েছে। আর এরপর থেকেই নয়াদিল্লির এমন সিদ্ধান্তের জেরে তীব্র জলকষ্টে ভুগছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান।
এদিকে একাধিকবার পাকিস্তানের তরফে ভারতকে আবেদন জানানো হচ্ছে সিন্ধু জল চুক্তি রদের বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করে দেখার জন্য। সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান ভারতকে এই আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে চারটি চিঠি দিয়েছে। এদিকে তীব্র গরমে মরিয়া অবস্থা হয়েছে পাকিস্তানের।
তবে শুধু ভারতকে চিঠি নয়, ইসলামাবাদের তরফে এই বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। যদিও নয়াদিল্লি এই বিষয় প্রথম থেকেই অনড়। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু জল চুক্তি হয়।
২২শে এপ্রিল পহেলগামে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নাগরিকের প্রাণ যায়৷ আর এরপরই নয়াদিল্লির তরফে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাকিস্তানের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব সৈয়দ আলি মুর্তজা এই বিষয়ে একাধিকবার ভারতের জনশক্তি মন্ত্রককে পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেও আপাতত ভারত এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
ভারতের তরফে জানানো হয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে এই চুক্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সন্ত্রাসে মদত দিয়ে পাকিস্তান এই চুক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ভারতের তরফে আরও বলা হয়েছে, জল ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। এর পাশাপাশি ভারতের তরফে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের তরফে সন্ত্রাসবাদ রুখতে বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সিন্ধু জল চুক্তি রদই থাকবে।