উত্তরপত্র জুড়ে লিখেছে ‘জয় শ্রীরাম’, ৬০ শতাংশ নম্বর! শেষ রক্ষা হলো না

‘জয় শ্রীরাম’ লিখেই পরীক্ষায় ৫৬ শতাংশ নম্বর! উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা উঠে আসতেই চমকে গিয়েছেন সকলে। ভক্তদের বিশ্বাস ‘রাম’ নামে সবকিছুই সম্ভব। তাই বলে পরীক্ষার খাতাতেও কি নম্বর পাওয়া সম্ভব? যদিও তেমনটাই দেখা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তবে এই নম্বরদাতা দুই অধ্যাপককে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ‘বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ফার্মার প্রথম এবং দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক্তন ছাত্র দিব্যাংশু এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।

২০২৩ সালের ৩রা আগস্ট ডি-ফার্মার প্রথম সেমিস্টারের ১৮ জন পরীক্ষার্থীর রোল নাম্বার নিয়ে তিনি উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ণের দাবী জানান। এছাড়াও তথ্য অধিকার আইনের আওতায় ৫৮ জন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র দেখতে চান। যার মধ্যে ৪২ জনের উত্তরপত্র দেখা গিয়েছে। সেখানে দেখা যায় ৪ জন পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে ‘জয় শ্রীরাম’ লিখেছেন।

এখানেই শেষ নয় তারা ভারতীয় ক্রিকেটারদেরও নাম লিখেছে খাতা ভর্তি করতে। আর এসব লিখেই ৭৫ এর মধ্যে ৫২ অর্থাৎ ৫৬ শতাংশ নাম্বার পেয়েছে তারা। এরপর দিব্যাংশু সমস্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়ে রাজভবনে অভিযোগ জানান। তিনি বলেন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাশ করিয়ে দিয়েছেন অধ্যাপকেরা।

উত্তরপত্র জুড়ে লিখেছে 'জয় শ্রীরাম',  ৬০ শতাংশ নম্বর! শেষ রক্ষা হলো না
উত্তরপত্র জুড়ে লিখেছে ‘জয় শ্রীরাম’, ৬০ শতাংশ নম্বর! শেষ রক্ষা হলো না

এই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজভবনের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় তদন্ত এবং পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়, গঠন করা হয় কমিটি। অবশেষে ৮ মাস পর কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করে। জানায় ওই অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য। এরপর উপাচার্য ড‌‌‌‌‌. বন্দনা সিং ওই দুই অধ্যাপক ড. বিনয় ভার্মা এবং ড. আশুতোষ গুপ্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানান।

আরও পড়ুন,
*দেখতে আকর্ষণীয় হয়েও অনেক মেয়ে সিঙ্গেল থাকেন, কারন জানেন
*ট্যাপ খুলেই গরম জল বেরোচ্ছে? এই সহজ উপায়ে ঠান্ডা থাকবে ট্যাঙ্কির জল

error: Content is protected !!
শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক