গরমকালে এয়ার কন্ডিশনার ছাড়া যেমন থাকা যায় না তেমনই ফ্রীজ একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস৷ এয়ার কন্ডিশনার ছাড়া তাও ফ্যানের সাহায্যে সময় কাটিয়ে দেওয়া গেলেও ফ্রীজ ছাড়া একেবারেই চলা যায় না৷ গরমকালে বাইরে রোদের তাপে শাকসবজি নষ্ট হয়ে যায়৷ এদিকে প্রতিদিন বাজার যেতেও ভালো লাগে না৷ অনেকের প্রতিদিন বাজার যাওয়ার সময় হয় না। তাই গোটা সপ্তাহের সবজি বাজার কিনে অনেকেই ফ্রীজে রেখে দেন। শাকসবজি, কাঁচা মাছ, মাংস কত কিই না রাখতে হয় ফ্রীজে। আর এইসময় ফ্রীজ খারাপ হয় বেশি। তাই গরমকালে ফ্রীজ ব্যবহার করার আগে কিছু সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করলে ফ্রীজ থাকবে ভালো এবং ভোগান্তির শিকার হতে হবে না।
ফ্রীজ ভালো রাখতে হলে মাঝেমধ্যে ফ্রীজের পিছনের নীচের দিকে কন্ডেনসর কয়েলটির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেটিকে নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। নাহলে বাড়ির যাবতীয় ধুলো, ময়লা সবকিছুই ওখানে জমা হয়। আর এই কারণে ফ্রীজ ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে। ছয় মাসে একবার করে কয়েল ব্রাশ দিয়ে কয়েল পরিষ্কার করা উচিত।
অনেকেই রয়েছেন যারা গরমের মধ্যে রান্না করতে করতে অনেকসময় ফ্রীজের দরজা খুলে তার সামনে দাঁড়ান। ফ্রীজের ঠান্ডা বাতাসে আরাম পাওয়া গেলেও এতে ফ্রীজের ক্ষতি হয়৷ কারণ এরফলে ফ্রীজের তাপমাত্রার হেরফের হয়৷ ফ্রীজের দরজায় একপ্রকার সিল বা রবারের গ্যাসকেট থাকে। বারংবার খোলা ও বন্ধ করা হলে বাইরের গরম তাপ ফ্রীজে প্রবেশ করে ও ফ্রীজকে ঠান্ডা হতে বাঁধা দেয়।
অনেকেই রয়েছেন যারা গোটা সপ্তাহের বাজার রবিবার করেন। কারণ গোটা সপ্তাহে থাকে অফিস। তাই রবিবার ছাড়া বাজার করার আর সময় পাওয়া যায় না৷ এই কারণে গরমকালে ফ্রীজ বেশি খারাপ হয়৷ তাই ফ্রীজে একগাদা জিনিস না রেখে যেগুলি ফ্রীজের বাইরে রাখলে ভালো থাকবে সেগুলি বাইরে রাখুন। যেগুলি ফ্রীজে না রাখলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেগুলি ফ্রীজে রাখুন।
ফ্রীজ ও ফ্রীজারের তাপমাত্রা আলাদা। তাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে গিয়ে যদি তাপমাত্রা কমিয়ে আনেন তাহলে ফ্রীজের ভিতরের জিনিস পঁচে যেতে পারে। ফ্রীজের আদর্শ তাপমাত্রা হলো ৩৭ থেকে ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ফ্রীজারের তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখাই ভালো।
ফ্রীজ ভালো রাখার আরেকটি উপায় হলো ফ্রীজার ডিফ্রস্ট করা। ফ্রীজের চেয়ে ফ্রীজারের তাপমাত্রা কম। অনেকসময় ফ্রীজারের ভিতরের দেয়ালে বরফ জমতে দেখা যায়। সেইসময় ফ্রীজার পুরোপুরি বন্ধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। ধীরে ধীরে বরফ গলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে৷