পুজো নিয়ে কতটা উন্মাদনা থাকে কোয়েল মল্লিকের মনে? সম্প্রতি সেই বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন একটি সাক্ষাৎকারে। ১০০ বছর পূর্ণ করেছে মল্লিক বাড়ির পুজো। তাইতো আলাদা রকম উন্মাদনা রয়েছে সকলের মনে। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে পুজো দেখে আসছেন তাই তার মধ্যে যেন অপেক্ষা অনেকটা বেশি।
এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘পুজো মানেই আমার একটা আলাদা উত্তেজনা কাজ করে। ছোটবেলা থেকেই তো দেখছি আমাদের বাড়িতে পুজো হয়। গত বছরই তো ১০০ বছর পূর্ণ হলো। এই বছর ১০১ হবে। ছোটবেলা থেকে যখনই মল্লিক বাড়িতে ঢুকি তখন আমার বয়স, বাবার বয়স সব যেন এক জায়গায় চলে যায়।’
‘বাবা সেই পাঁচ-ছয় বছরের বাচ্চা হয়ে যায়, আমিও যেন সেইরকম হয়ে যাই। প্রত্যেকেই সমবয়সী হয়ে যাই। দাদু, ঠাকুমা যারা যারা আছেন জ্যেঠু, জ্যেঠিমা বিশেষ করে জ্যেঠুরাও যেন অনেক ছোট হয়ে যান। প্রত্যেকের মনে থাকা বাচ্চাটা বেরিয়ে আসে।’ আসলেও তাই বছরের এই সময়টা সকলকে এক করে দেয়।
সারাবছর যতই ব্যস্ততা, কাজের চাপ থাকুক না কেন পুজোর পাঁচটা দিন সবকিছু ভুলে মানুষ যেন আনন্দে মেতে ওঠে। ছোট, বড়ো কোনো ভেদাভেদ থাকে না। সবাই তখন সমবয়সী, সবাই তখন বন্ধু। সেরমটাই হয়েছে কোয়েল মল্লিকের ক্ষেত্রেও।
মল্লিক বাড়ির পুজো ভীষণই বিখ্যাত। গত বছর সেটি ১০০ পূর্ণ করেছে। অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, মেয়ে কোয়েল মল্লিক এবং তার স্বামী নিসপাল সিং পুজোর কয়েকটা দিন বাড়িতেই থাকেন। আর সময় পেলে কলকাতায় এদিক-ওদিকও বেরিয়ে পড়েন সকলে মিলে।

