সামনেই আসছে হিন্দু ধর্মের উৎসব দোল। বর এই দোলে রাঙিয়ে ওঠে গোটা বৃন্দাবন। রাধা কৃষ্ণের পবিত্র ধামে প্রতিবছর হোলির সময় উৎসব চলে রঙের। এবার ১৮ই মার্চ থেকে বৃন্দাবন থেকে মথুরা রঙে সেজে উঠল। সামনেই দোল। আর এই দোলের জন্য প্রস্তুত গোটা দেশ। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হোলি উৎসব পালিত হয়। যদিও শুধু ভারতের মানুষ নন, দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে এই উৎসব।
তবে ব্রজেী হোলির রয়েছে নিজস্ব জায়গা। প্রতিবছর মথুরা ও বৃন্দাবনে জাঁকজমকপূর্ণ হোলি উৎসব পালন করা হয়৷ আর তা দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। মথুরার বারসানায় রয়েছে লাড্ডু হোলি খেলার রীতি। প্রতি বছর মহা সাড়ম্বরে পালিত হয় সেই উৎসব। মথুরার মন্দিরের পান্ডা হোলির খেলতে বারসানা থেকে নন্দগাঁও যান।
আর সে ফিরে আসার পর তাকে লাড্ডু দিয়ে স্নান করানো হয়। বারসানায় লাঠমার হোলি শুরু হয় ১৮ই মার্চ এবং এরপরের দিন নন্দগাঁওয়ে লাঠমার হোলি খেলা শুরু হয়। কৃষ্ণধামে হোলি খেলার সঙ্গে কৃষ্ণ ও রাধার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বৃন্দাবনে এদিন ফুল দিয়েও রং খেলা হয়।
লাড্ডু হোলি নিয়ে একটি কাহিনি রয়েছে। রাধারানির পিতা বৃষভানু জি শ্রী কৃষ্ণের পিতাকে নন্দগাঁওয়ে হোলি খেলার আমন্ত্রণ জানান। এরপর বরসানার গোপীরা হোলির আমন্ত্রণপত্র নিয়ে নন্দগাঁও যান। যা কৃষ্ণের বাবা নন্দবাবা আনন্দের সঙ্গে মেনে নেন।
এরপর আমন্ত্রণ গ্রহন করার চিঠি একজন পুরোহিতের মাধ্যমে বারসানাকে পাঠানো হয়। তখন পুরোহিতকে মিষ্টি মুখ হিসেবে লাড্ডু খাওয়ানো হয়। এরপর থেকে লাড্ডু হোলির চল রয়েছে।