ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানা সাধারণত শান্ত, পরিমিত এবং সংযত আচরণের জন্য পরিচিত। বলিউড থেকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি—সব জায়গাতেই রশ্মিকা নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে আলাদা অবস্থান তৈরি করেছেন। তিনি খুব কমই বিতর্কে জড়ান, আর সোশ্যাল মিডিয়াতেও সচেতনভাবে এমন কোনও মন্তব্য করেন না, যা অযথা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমন একটি মন্তব্য করলেন রশ্মিকা, যা মুহূর্তে দ্বিধাবিভক্ত করে দিয়েছে নেটপাড়া। একই সঙ্গে তাঁর ‘ইমেজ’ নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন—তিনি কি নিজের পরিচিত ছকের বাইরে বেরিয়ে আসছেন?

প্রশ্ন–পুরুষদের জন্য কোন অভিজ্ঞতা চান? উত্তরে বিস্ফোরক রশ্মিকা
সম্প্রতি একটি পাবলিক ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন রশ্মিকা মন্দানা। সেখানে তাঁকে হালকা মেজাজের কিছু প্রশ্ন করা হয়। তারই একটি ছিল—
“এমন কোন বিষয় আছে, যার অভিজ্ঞতা আপনি চান পুরুষদেরও হোক?”
প্রশ্নটি শুনে কিছুক্ষণ ভেবে অভিনেত্রী জবাব দেন—
“পুরুষরা ঋতুমতী হোক! তবেই তারা বুঝতে পারবে, নারীরা কী ধরনের যন্ত্রণা সহ্য করেন।”
এই এক কথাই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে গোটা নেটদুনিয়ায়। মুহূর্তে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, শুরু হয় তর্ক-বিতর্কের বন্যা।
কারও মতে সহমর্মিতার কথা, কারও মতে অযৌক্তিক দাবি
রশ্মিকার মন্তব্য শোনার পরে নেটিজেনদের একাংশ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মতে—

অভিনেত্রী শত্রুতা থেকে বলেননি
বরং পুরুষদের মধ্যে সহমর্মিতা জাগানোর চেষ্টা করেছেন
ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা, মানসিক পরিবর্তন ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ একটি বড় বিষয়
অনেক পুরুষ এ বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা রাখেন না
তাই রশ্মিকার বক্তব্য বাস্তবতার ভিত্তিতে, তিক্ত হলেও সত্য

অন্যদিকে, সমালোচকদের যুক্তি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁদের অভিযোগ—
“শারীরবৃত্তীয় দিক থেকে অসম্ভব একটি দাবি তুলে এনে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী।”
“বিতর্ক তৈরি করে আলোচনায় থাকার চেষ্টা।”
“নারী-পুরুষের সুস্পষ্ট জৈবিক পার্থক্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে।”
“পুরুষদের অভিজ্ঞতা বোঝাতে এই ধরনের তুলনা ঠিক নয়।”
আরও পড়ুন
Subhasree: ‘ওয়েটিং রুম’এর শ্যুটিং থেকে লাইভ ভিডিওতে বিশেষ বার্তা শুভশ্রীর! দেখুন কী জানালেন
দুই পক্ষের যুক্তি মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে একেবারে দুই মেরুতে বিভক্ত। কেউ রশ্মিকার সাহসিকতার প্রশংসা করছেন, কেউ আবার তাঁর বক্তব্যকে তীব্র সমালোচনা করছেন।
নারীদের ঋতুস্রাব—এখনও সামাজিকভাবে স্পর্শকাতর বিষয়
ঋতুস্রাব নিয়ে ভারতীয় সমাজে এখনও অনেক কুসংস্কার, ভুল ধারণা ও লজ্জা–বোধ কাজ করে। অনেক মানুষ, বিশেষ করে পুরুষরা, মাসিকের সময় নারীরা কী শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যান, তা সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নন।
ফলেই রশ্মিকার বক্তব্য, অনেকের মতে, একটি সামাজিক বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে।
একজন নারী হিসেবে তিনি হয়তো চেয়েছেন—
পুরুষরা বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে বুঝুক, সম্মান করুক।
যদিও তাঁর কথার ব্যাখ্যা সরাসরি আক্ষরিক অর্থে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই—এমনটাও একাংশের দাবি।
সাম্প্রতিক সময়ে রশ্মিকার আরও মন্তব্যে বিতর্ক
এটাই প্রথম নয়। শেষ কয়েক সপ্তাহে রশ্মিকা বেশ কিছু সামাজিক ও পেশাগত ইস্যুতে খোলামেলা মন্তব্য করেছেন।
✔ দীপিকা পাড়ুকোনের ‘৮ ঘণ্টা কাজ’ মন্তব্যে সমর্থন
সম্প্রতি দীপিকা পাড়ুকোন বলেছিলেন—
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার একটি নির্দিষ্ট কাজের সময় থাকা উচিত।
রশ্মিকাও তাঁর এই দাবিকে সমর্থন করেন। তিনি জানান—
“মানুষ হিসেবে কর্মীদেরও সময় দরকার। নির্দিষ্ট সময়ের পরে চাপ বাড়ানো উচিত নয়।”
✔ কিন্তু পরিচালক সন্দীপ রেড্ডী বাঙ্গার বিপরীত দাবি
‘অ্যানিমেল’ পরিচালক সন্দীপ রেড্ডী বাঙ্গা ঠিক উল্টো কথা বলেন। তাঁর দাবি—
রশ্মিকা সময় মেপে কাজ করেন না
নির্দিষ্ট সময়সীমা কখনোই চাপিয়ে দেন না
তিনি দীর্ঘ সময় শুট করতে স্বচ্ছন্দ
এই মন্তব্য বেশ চর্চায় ওঠে, কারণ তার কয়েকদিন পরই রশ্মিকার পক্ষ থেকে ‘সময়সীমার সপক্ষে’ বক্তব্য আসে। ফলে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—
“রশ্মিকা কি নিজের পুরোনো কাজের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে নতুন ছকে ঢুকছেন?”
রশ্মিকার বদলে যাওয়া ইমেজ—নতুন দিক?
পুরো ঘটনার পর বিশ্লেষকদের মতে, রশ্মিকার ব্যক্তিত্বে একটি বদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অতীতে তিনি অনেক বেশি নিরপেক্ষ, সুরক্ষিত, এবং স্বল্প মন্তব্যে বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু এখন—
সামাজিক বিষয়ে খোলামেলা
নারীকেন্দ্রিক ইস্যুতে স্পষ্ট বক্তব্য
ইন্ডাস্ট্রির নীতি নিয়ে সরাসরি কথা
বিতর্ককে আর পরিহার করছেন না
নিজের জায়গা থেকে মত প্রকাশে সাহসী
সম্ভবত তিনি বুঝতে শিখছেন—
বড় তারকাদের শুধু অভিনয় নয়, সামাজিক বার্তাও বহন করতে হয়।
রশ্মিকার মন্তব্য—সমাজে কী প্রভাব ফেলছে?
এই মন্তব্যকে শুধু বিতর্ক হিসেবে দেখা হলে ভুল হবে। এর পেছনে যে বৃহত্তর প্রশ্নটি উঠে এসেছে তা হলো—
✅ পুরুষরা কি যথেষ্ট বুঝতে পারেন নারীদের ঋতুস্রাব-সংক্রান্ত যন্ত্রণা?
✅ মাসিক নিয়ে আলোচনা এখনও কি সমাজে ট্যাবু?
✅ নারীদের অভিজ্ঞতা বোঝাতে কি আরও সচেতনতা প্রয়োজন?
✅ সেলিব্রেটিরা কি এই বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন?
রশ্মিকার মন্তব্য যদিও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, তবুও এই আলোচনার মধ্যে দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জনসমক্ষে এসেছে—
সহমর্মিতা, বোঝাপড়া এবং সচেতনতা।
নারীবাদী মহলের প্রতিক্রিয়া
নারীবাদী সংগঠনগুলির মতে—
রশ্মিকার বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্য সমাজে নারীদের প্রতি সহানুভূতি বাড়ানো। তবে এ ধরনের বক্তব্য ভুল ব্যাখ্যার জন্ম দিতে পারে, কারণ জৈবিক বাস্তবতা আলাদা।
তাঁদের পরামর্শ—
তুলনামূলক উদাহরণ ব্যবহার করা
শিক্ষামূলক প্রচারণা বাড়ানো
মেয়েদের মাসিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা
পুরুষদেরও এই আলোচনায় যুক্ত করা
তবে একজন জনপ্রিয় তারকা হিসেবে রশ্মিকা যে আলোচনাটিকে সামনে নিয়ে এসেছেন, তা তাঁরা ইতিবাচক বলে মনে করছেন।
রশ্মিকার ক্যারিয়ার—সমালোচনার মাঝেও আলোয় ভাসছে
রশ্মিকা বর্তমানে দক্ষিণী সিনেমার পাশাপাশি বলিউডেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া কয়েকটি বড় বাজেটের ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। বিজ্ঞাপন দুনিয়াতেও তাঁর উপস্থিতি শক্তিশালী। ফলে তাঁর প্রতিটি মন্তব্যও বহুল আলোচিত হচ্ছে।
ভক্তদের মতে—
এমন সাহসী মন্তব্য রশ্মিকাকে আরও মানবিক করে তুলেছে।
তিনি যখন নিজের অভিজ্ঞতা ও ভাবনা খোলামেলা বলে ফেলেন, তখন তাঁর জনপ্রিয়তা আরও কাছাকাছি চলে আসে মানুষের।
তাহলে কি রশ্মিকা নিজের পরিচিত ছকই ভাঙছেন?
বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে—
হ্যাঁ, রশ্মিকা তাঁর পূর্বের ‘চুপচাপ, নিরিবিলি, নিরপেক্ষ’ অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে নতুন স্বভাবের দিকে হাঁটছেন।
এই পরিবর্তন—
তাঁর ব্যক্তিগত আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ
সামাজিক বিষয়ে যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত
নিজের মত প্রকাশে নির্ভীক হওয়ার প্রতিফলন
এবং ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়েরও সূচনা
তবে সমালোচকরা বলেন—
এইসব মন্তব্য তাঁকে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অযাচিত বিতর্কের মুখেও ফেলতে পারে।
শেষ কথা
রশ্মিকা মন্দানার “পুরুষদেরও ঋতুস্রাব হোক” মন্তব্য নিঃসন্দেহে কঠিন, বিতর্কিত এবং আলোচনা-উদ্দীপক। তবে এর ভেতরে লুকিয়ে আছে একটি গভীর বার্তা—
নারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সম্মান দেওয়া এবং তা বোঝার প্রয়োজনীয়তা।
একদিকে তাঁর বক্তব্য সমাজকে চিন্তা করতে বাধ্য করছে, অন্যদিকে বিতর্কের আঁচও বাড়াচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়—
রশ্মিকা কি ভবিষ্যতে আরও এমন খোলামেলা, জোরালো মন্তব্য নিয়ে সামনে আসবেন?
নাকি এই বিতর্কের জেরে আবার পুরনো সংযত অবস্থানে ফিরে যাবেন?
সময়ের অপেক্ষা।
FAQ
১) প্রশ্ন: রশ্মিকা মন্দানা কী মন্তব্য করেছিলেন?
উত্তর: তিনি বলেন, “পুরুষরা ঋতুমতী হোক, তবেই তারা নারীদের যন্ত্রণা বুঝতে পারবে।”
২) প্রশ্ন: তিনি কোথায় এই কথা বলেন?
উত্তর: সম্প্রতি এক পাবলিক অনুষ্ঠানে তাঁকে করা প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন।
৩) প্রশ্ন: প্রশ্নটি কী ছিল যেটার উত্তরে রশ্মিকা এমন মন্তব্য করেন?
উত্তর: তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়— “পুরুষদের কোন অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?”
৪) প্রশ্ন: রশ্মিকার বক্তব্যে কেন বিতর্ক তৈরি হয়েছে?
উত্তর: জৈবিকভাবে অসম্ভব দাবি করা হয়েছে বলে অনেকে সমালোচনা করেছেন।
৫) প্রশ্ন: সমর্থনকারীদের যুক্তি কী?
উত্তর: তারা বলেন, রশ্মিকা সহমর্মিতা তৈরির চেষ্টা করেছেন, আক্ষরিক অর্থে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
৬) প্রশ্ন: সমালোচকদের মত কী?
উত্তর: তাঁরা মনে করেন অভিনেত্রী অযৌক্তিক দাবি করে জনপ্রিয়তা লাভের চেষ্টা করেছেন।
৭) প্রশ্ন: রশ্মিকা কি সাধারণত বিতর্কে জড়ান?
উত্তর: না, তিনি সাধারণত পরিমিত কথাবার্তা বলেন এবং বিতর্ক এড়িয়ে চলেন।
৮) প্রশ্ন: এই মন্তব্য নারীদের কোন বিষয়কে সামনে এনেছে?
উত্তর: মাসিকের সময়ে নারীদের যন্ত্রণা, মানসিক চাপ ও সামাজিক ট্যাবুকে তুলে এনেছে।
৯) প্রশ্ন: নারীবাদী সংগঠনগুলোর প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তর: তারা বলেন, উদ্দেশ্য ইতিবাচক হলেও ব্যাখ্যা আরও সাবলীল হতে পারত।
১০) প্রশ্ন: রশ্মিকার মন্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে?
উত্তর: নেটিজেনরা দুই ভাগে বিভক্ত—কেউ সমর্থন করেছেন, কেউ সমালোচনা।
১১) প্রশ্ন: রশ্মিকা কি সামাজিক বিষয়ে সচেতন?
উত্তর: সাম্প্রতিক সময়ে তিনি আরও স্পষ্টভাবে সামাজিক ইস্যুতে মত প্রকাশ করছেন।
১২) প্রশ্ন: তিনি দীপিকা পাড়ুকোনের কোন বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন?
উত্তর: ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজের সময়সীমা নির্ধারণের পক্ষে মত দিয়েছেন।
১৩) প্রশ্ন: সন্দীপ রেড্ডী বাঙ্গা রশ্মিকা সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছিলেন?
উত্তর: তিনি বলেন, রশ্মিকা সময় মেপে কাজ করেন না এবং শুটিংয়ে নমনীয়।
১৪) প্রশ্ন: রশ্মিকার বক্তব্য কি তাঁর ইমেজ বদলাচ্ছে?
উত্তর: বিশ্লেষকদের মতে, তিনি আগের তুলনায় অনেক বেশি খোলামেলা ও সাহসী হচ্ছেন।
১৫) প্রশ্ন: তাঁর মন্তব্যের উদ্দেশ্য কী হতে পারে?
উত্তর: পুরুষদের মধ্যে নারীদের মাসিক নিয়ে সচেতনতা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি।
১৬) প্রশ্ন: পুরুষদের নিয়ে এই তুলনা কি বৈজ্ঞানিকভাবে সম্ভব?
উত্তর: না, এটি আক্ষরিক নয়; রূপক অর্থে করা একটি মন্তব্য।
১৭) প্রশ্ন: এই মন্তব্য তাঁর ক্যারিয়ারে কী প্রভাব ফেলতে পারে?
উত্তর: ইতিবাচক আলোচনার পাশাপাশি কিছু বিতর্কও তাঁর চারপাশে তৈরি হয়েছে।
১৮) প্রশ্ন: ভক্তদের প্রতিক্রিয়া কেমন?
উত্তর: অধিকাংশ ভক্ত অভিনেত্রীর সাহসী মন্তব্যকে সমর্থন করছেন।
১৯) প্রশ্ন: রশ্মিকার কথায় কোন সামাজিক সমস্যার ইঙ্গিত রয়েছে?
উত্তর: মাসিক নিয়ে সমাজে এখনো প্রচুর ভুল ধারণা ও কুসংস্কার রয়েছে।
২০) প্রশ্ন: ভবিষ্যতে কি রশ্মিকা আরও খোলামেলা মন্তব্য করবেন?
উত্তর: তাঁর সাম্প্রতিক আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তিনি সামাজিক বিষয়ে আরও সরব হতে পারেন।
#RashmikaMandanna
#ViralStatement
#SocialDebate
