তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুকে এক তরুণী চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যু এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মৃত চিকিৎসকের নাম শালিনী দাস, তিনি একজন অ্যানাস্থেটিস্ট। কলকাতার দমদমে স্থায়ী ঠিকানা হলেও সরকারি দায়িত্বে দীর্ঘদিন ধরে তিনি তমলুকে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুর মুহূর্তে তাঁর পোস্টিং ছিল কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল।
পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরেই শালিনী মহিষাদলের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজ শেষ করে ফেরেন। এরপর তিনি তমলুকের আরেকটি নার্সিংহোমে যান। তারপরে বাড়ি ফেরার পর হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, যেখানে শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর
দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি নামার পথে গাড়ি খাদে, মৃত ২, আহত ৩
মায়ের বক্তব্য রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে। তিনি জানান, মেয়ের ডান হাতে চ্যানেল লাগানো ছিল, সেখানে থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়ছিল। কীভাবে বা কেন চ্যানেল বসানো হয়েছিল, সে বিষয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই। মা উল্লেখ করেছেন, সকালে শালিনী সম্পূর্ণ সুস্থভাবেই কাজে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমন অঘটন ঘটেছে।
খবর
Dhaka Airport Fire: ঢাকা বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শালিনী প্রায় দুই বছর ধরে তমলুকে সরকারি হাসপাতালে দায়িত্ব সামলেছেন এবং মাত্র তিন মাস আগে বদলি হয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে এসেছিলেন। তিনি তমলুক পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন। সহকর্মীরা তাঁকে কর্মব্যস্ত, দায়িত্বশীল এবং সজ্জন হিসেবে জানতেন।
ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে এবং তমলুক থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারের দাবি, শালিনীর মৃত্যুর সঙ্গে অস্বাভাবিক কিছু ঘটেছে, যা উদ্ঘাটন করা জরুরি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই সুষ্ঠু তদন্তের ধারা পরিষ্কার হবে।