পুলিশের উর্দি পরে গোটা পাড়া ঘুরে বেড়াতেন। কেউ জিগ্যেস করলে বলতেন, “পুলিশে চাকরি করি। বিকাশ ভবনে পোস্টিং”। অবশেষে ওই যুবককেই গ্রেফতার করল পুলিশ। আর এই ঘটনায় তাজ্জব এলাকার সকলে। টানা এক বছর সকলকে বোকা বানিয়েছেন ওই যুবক। জানা যাচ্ছে, ধৃত ওই যুবকের নাম অঙ্কিত ঘোষ। বাড়ি গাইঘাটা থানার শিমুলপুর চৌরঙ্গী এলাকায়। এদিন পুলিশ ওই যুবককে পাকড়াও করায় তার পাড়া প্রতিবেশী সহ পরিবারের সকলেই তাজ্জব।
জানা যাচ্ছে, খানকয়েক পুলিশের উর্দি বানিয়েছিল সে। পুলিশের উর্দি পরে সমাজ মাধ্যমে মাঝেমধ্যে ছবি পোস্ট করত সে। সকলেই ভাবত ছেলে অল্প বয়সে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। বাড়ির লোকও খুশি ও গর্বিত। গত এক বছর ধরে সে সকলকে বোকা বানিয়ে এসেছে। অবশেষে পুলিশের হাতেই গ্রেফতার ‘পুলিশ’। উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটার ঘটনা। সকলেই জানতেন অঙ্কিত পুলিশ ও তার পোস্টিং সল্টলেকের বিকাশ ভবনে।
এভাবেই পুলিশের পোশাকে দীর্ঘদিন সে ঘোরাফেরা করতে থাকে। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। এরপর অঙ্কিতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তারা। প্রথম দিকে অঙ্কিত জোর গলায় জানায় যে সে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধীরে ধীরে তার গলার জোর কমতে থাকে। পুলিশ তার কাছে কাগজপত্র দেখতে চায়। কিন্তু তা সে দেখাতে পারেনি।
এরপরই ওই যুবক আত্মসমর্পণ করে। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে অঙ্কিত নামের ওই যুবকের গ্রেফতারের ঘটনায় গোটা এলাকার লোক তাজ্জব বনে গিয়েছেন। অঙ্কিতের কাছে কয়েক সেট পুলিশের পোশাক ও নেমপ্লেট উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া আরও নকল কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, পুলিশের পরীক্ষা দিয়েছিলেন অঙ্কিত। কিন্তু কৃতকার্য হননি।
যদিও বাড়িতে সে জানায় তার পুলিশের চাকরি হয়েছে। সকালে নির্দিষ্ট সময়ে পুলিশের পোশাক গায়ে চাপিয়ে সে বাড়িতে থেকে বের হতো। তাকে জিগ্যেস করা হলে জানাতেন, “ডিউটিতে যাচ্ছি”। ছেলেকে গ্রেফতার করায় পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। জানা যাচ্ছে, বহুদিন ধরে অঙ্কিতের গতিবিধির উপর গোপনে নজর রাখছিল পুলিশ। সুযোগ পেয়ে অবশেষে তাকে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ।