ফের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জয়ের হাসি, উচ্ছ্বাসে ভাসল কলকাতা থেকে হায়দরাবাদ

Once again, the smile of winning the T20 World Cup floated from Kolkata to Hyderabad in euphoria

দীর্ঘ ১১ বছর ফের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জয়ের হাসি। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের চূড়ান্ত পর্বের খেলার দিন। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে জয় হয় ভারতের। আর এদিন ভারতের জয়ের পরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে গোটা দেশ৷ ভারত জিততেই বাঁধন হারা খুশিতে ফেটে পড়ল সকলে। গত ২০১১ সালের ২রা এপ্রিলের রাতের মতন ফের রাস্তায় বেরিয়ে এলেন মানুষ। দীর্ঘ ১১ বছর পর ফের ঘরে ফিরল কাপ। আর এই আনন্দে কেঁদে ফেললেন অনেকেই।

২০১১ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আনন্দের মাত্রা অনেকটাই বেশি ছিল। প্রায় হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া খেলার যে মোড় নিয়েছিল তা যেনো অবিশ্বাস্য। ২০২৪-এর খেলা ছিল শাপমোচনের বিশ্বকাপ। কারণ ২০২৩ সালের ১৯শে নভেম্বর গোটা দেশের ১৪০ কোটি মানুষের যে হৃদয় ভেঙেছিল তা যেনো এদিন জুড়ে গেলো। আর এতেই খুশির মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল অনেক। পিচ থেকে বালি খেয়ে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে রোহিত শর্মাকে।

শেষ ওভারে বল করছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার শেষ বলের সময় ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১১টা ৩৩ মিনিট৷ শেষ বল করার পরই গোটা দেশ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। কলকাতা সহ গোটা বাংলার মানুষে আনন্দে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। বাজি ফাটাতে শুরু করে পরপর। যেনো দীপাবলি এসে গিয়েছে। প্রবীণ, ছোটো, বড় সকলে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।

ভারতের পতাকা হাতে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন দেশের প্রতিটি কোণার মানুষ। রাত ১২টা পেরিয়ে গেলেও উচ্ছ্বাস কমেনি৷ জামা খুলে নাচতে থাকেন অনেকে। রাস্তায় জড়ো হয়ে দেশের নামে ধ্বনি দিতে থাকেন সকলে৷ রাস্তার মধ্যেই চলতে থাকে নাচগান। রাত বাড়লেও মানুষের মনে আনন্দের সীমা যেনো বাড়তেই থাকে।

কেউ ঢাকঢোল বাজিয়ে নাচ করতে শুরু করে দেন। এরফলে রাস্তা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তাতে কেউ ক্ষুন্ন হননি। বরং সকলে দেশের নাম ধ্বনি দিতে থাকেন। ‘চক দে ইন্ডিয়া’-র গান বাজিয়ে জম্মুতে চলে আনন্দ উচ্ছ্বাস।