‘জেন-জি’-র রোষের কাছে নতিস্বীকার, পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি

অবশেষে জনতার রোষের মুখে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। জনতার বিদ্রোহের মাধ্যমে যে দাবি উঠেছিল তা একপ্রকার মেনে নিলেন ওলি। মঙ্গলবার সকালে ওলি জানান, সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক করবেন তিনি। আর তার মাধ্যমে অসুবিধাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কিন্তু সেই সময় হওয়ার আগেই পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হল ওলিকে। জানা যাচ্ছে , তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করছেন। আপাতত সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইতে আস্তানা নিতে পারেন।

যদিও সেনাবাহিনীর তরফেও ওলিকে পদত্যাগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার নেপালের সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ওলির সঙ্গে দেখা করেন ও তাকে পদত্যাগের অনুরোধ জানান। সেনাবাহিনীর কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান ওলি। এরপর পদত্যাগ করেন তিনি। এদিকে ওলির বাড়িতে ক্ষুদ্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি নেপালের মন্ত্রীসভার সদস্যের অনেকের বাড়িতে আগুন ধরিয়েছে উত্তেজিত জনতা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সমাজ মাধ্যম ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নেপাল সরকার। আর এরপরই আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে। অনেকদিন ধরেই পুঞ্জিভূত হয়েছিল ক্ষোভের আগুন। অবশেষে তা বাঁধ ভাঙল সমাজ মাধ্যম ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর। নেপালের নতুন প্রজন্ম এটি কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। আর এরপর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু।

বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালায়৷ ছোঁড়া হয় কাঁদানেগ্যাস। এর ফলে ১৯ জন বিক্ষোভকারীর প্রাণ যায়। এছাড়া আহত হন একাধিক বিক্ষোভকারী। আর এই ঘটনার পর বিক্ষোভের আগুন আরও বেড়ে যায়। যদিও জনতার রোষের চাপে রাতেই সমাজ মাধ্যম ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় নেপাল সরকার। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভের আগুন নেভেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। অবশেষের জনতার রোষের কাছে নতিস্বীকার করলেন ওলি।

error: Content is protected !!