অভিনেতা-ইউটিউবার সায়ন্ত মোদক ফের আলোচনায়। কদিন আগেই একাধিক প্রাক্তন প্রেমিকার বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগের পর পুরোপুরি গায়েব ছিলেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। তবে পুজোর মরসুমে ফের শুরু হয়েছে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় আনাগোনা—আর সেখানেই বদলে গেছে তাঁর কনটেন্টের ধরণ।
আগে যেখানে বিলাসবহুল গাড়ি, দামি রেস্তোরাঁ ও ট্রাভেল ভ্লগে ভরপুর ছিল সায়ন্তর প্রোফাইল, এখন সেখানে ঠাঁই পেয়েছে দেবী ভক্তি। কখনো প্রাচীন কালীমন্দিরের ভিডিও, কখনো শতাব্দীপ্রাচীন কালীমূর্তির মাহাত্ম্য শোনাচ্ছেন তিনি। এমনকি ইস্কন থেকেও ভিডিও পোস্ট করেছেন সায়ন্ত।
তবে এই ‘রূপান্তর’ নিয়ে বিভক্ত নেটদুনিয়া। একাংশের কটাক্ষ—এ কি শুধুই “ইমেজ শুধরানোর চেষ্টা”? এক নেটিজেন লিখেছেন, “যে মেয়েদের সম্মান করতে জানে না, সে এখন কালী মায়ের মাহাত্ম্য শোনাচ্ছে!” অন্য এক মন্তব্যে লেখা, “তোমার এডিটিং যত ভালোই হোক, মানুষ হিসেবে জঘন্যই থাকবে।”
খবর
রেকর্ড গড়ল যোগী আদিত্যনাথের অযোধ্যা, দীপাবলিতে ২৬ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বেলে নাম তুলল গিনেস বুকে
তবে সমর্থনও কম নয়। এক অনুরাগী লিখেছেন, “ওয়েলকাম ব্যাক দাদা! তোমার রিলগুলো দারুণ লাগে।” আরেকজনের মন্তব্য, “তোমার বানানো দুর্গাপুজোর রিল সেরা। তোমার এডিটিংয়ের জুড়ি মেলা ভার।”
কী ছিল অভিযোগ?
সায়ন্ত মোদক ও কিরণ মজুমদারের বিচ্ছেদের সময় থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। সেই সময় সায়ন্তর আগের দুই প্রেমিকা দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় ও প্রিয়াঙ্কা মিত্র প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তিনজনই দাবি করেন, প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন সায়ন্ত তাঁদের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন, এমনকি কথা বলার সময়ও সংযম হারাতেন। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সায়ন্ত নীরব হয়ে পড়েন ও নিজের ইউটিউব-ইনস্টাগ্রাম কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
প্রায় চার মাস পর তিনি আবার ফিরে এসেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়—তবে একেবারে অন্য রূপে। এবার প্রশ্ন, এই নতুন ‘ভক্তি-মুখী’ সায়ন্ত কি সত্যিই পরিবর্তনের পথে, নাকি এটি কেবলমাত্র ইমেজ মেকওভারের নতুন অধ্যায়?