পশুর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হোক গরুকে, দাবি শঙ্করাচার্যের

kmc 20240921 155413 KBcanrNo49

হিন্দু ধর্মে গোরুকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করা হয়। হিন্দু ধর্মে গোরুর বিশেষ স্থান রয়েছে। এর পাশাপাশি গোরুকে মা বলে ডাকা হয়। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে গোরু যেমন এক পবিত্র প্রাণী তেমনই এবার গোরুকে পশুর প্রজাতি থেকে বাদ দেওয়ার আর্জি জানালেন শঙ্করাচার্য। সরকারের কাছে তিনি এই আর্জি জানিয়েছেন। তার কথায়, অবিলম্বে এই পদক্ষেপ

আমাদের দেশে হিন্দু ধর্মে যেমন গোরুকে পুজো করা হয়েছে তেমনই গোমাংস নিষিদ্ধ করা এবং সেই মাংস থাকার অভিযোগে কাউকে হত্যা করার মতন ঘটনা ঘটেছে। গোরুকে নিয়ে একাধিকবার সরগরম হতে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক আবহাওয়াকে। গোরুকে যেমন মাতৃজ্ঞানে পুজো করার কথা বলা হয়েছে তেমনই নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম অ্যাজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গোরুকে।

এর পাশাপাশি গোরুকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করা হয়েছে যারা গোরুকে রক্ষা করেন। অর্থাৎ গোরুর কোনোরকম অসম্মান তারা সহ্য করেন না। তবে এবার যেনো সেই দাবিকে আরও জোরালো করে উত্তরাখণ্ডের শংকরাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ জানিয়েছেন, গোরুকে শুধু রক্ষা করলে হবে না, তাকে দিতে হবে যোগ্য সম্মান। গোরুকে করা কোনোরকম অসম্মান গ্রহণযোগ্য হবে না। আর তাই পশুর তালিকা থেকে গোরুকে বাদ দিতে হবে।

ওই শঙ্করাচার্যের কথায়, গোরুকে হিন্দু ধর্মে মাতৃজ্ঞানে পুজো করা হয়। তাই অন্যান্য পশুর থেকে গোরুর স্থান অনেক উঁচুতে। তাই গোরুকে পশু বলা যাবে না। তার কথায়, গোরুকে মা বলার হয় তাই তাকে মায়ের মতন শ্রদ্ধা করতে হবে। যদিও কেন্দ্র সরকার গোরুকে পশু হিসেবে যেমন মান্যতা দেয় তেমনি সরকারি কাজে পরিচয় লেখার সময় গোরুর শ্রেণি হিসেবে তাকে পশু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

কিন্তু এতে আপত্তি রয়েছে শঙ্করাচার্যের। তার কথায় মাতৃজ্ঞানে পুজো করা গোরুকে পশু বলার অর্থ তাকে অসম্মান করা। তবে শুধু শঙ্করাচার্য নন, এর আগে গো-রক্ষা কমিটির তরফে এই দাবি তোলা হয়েছিল। ধর্মগুরুর কথায়, গোরুকে রক্ষা করার পাশাপাশি তাকে মাদার অফ নেশন তকমা দেওয়া হোক। এর পাশাপাশি গো হত্যা যাতে পুরোপুরি বন্ধ হয় তা নিশ্চিত করা হোক। গোরুকে অসম্মান করা হচ্ছে এমন অভিযোগ এলে এমন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক যা দেখে সকলে গোরুকে অসম্মান করতে ভয় পায়।