গত শুক্রবার ভারতীয় গায়ক জুবিন গর্গ চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। সিঙ্গাপুরে তার অনুষ্ঠানের আগের দিনই ঘটে যায় বিপর্যয়। স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারালেন গায়ক। তার অকস্মাৎ মৃত্যুতে স্তদ্ধ তার অনুরাগী থেকে বিনোদন জগত। হিন্দি, বাংলা ভাষায় একাধিক গান করেছেন তিনি। অসম সরকারের তরফে গায়কের মৃত্যুতে শোকবার্তা জানানো হয়েছে।
গত রবিবার সিঙ্গাপুর থেকে দিল্লি নিয়ে আসা হয় গায়কের মরদেহ। এরপর ওইদিনই গুয়াহাটি বিমানবন্দরে পৌঁছোয় তার দেহ। সেখানে রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে হাজির ছিলেন গায়কের স্ত্রী গরিমা। অবশেষে সম্মান জানানোর পালা ও ময়না তদন্তের পর এদিন মঙ্গলবার অবশেষে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে গায়কের। তবে নিঃসন্তান গায়কের মৃত্যুর পর তার মুখাগ্নি করলেন কে?
আরও পড়ুন,
৭১ তম জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হলেন বলিউড ‘বাদশা’ শাহরুখ! খুশির জোয়ার পরিবারে
হিন্দু ধর্ম মতে, ছেলে অথবা মেয়ে মুখাগ্নি করতে পারে। কিন্তু গায়কের কোনো সন্তান ছিল না। গায়কের সেই অন্তেষ্টিক্রিয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে স্বামীর শেষ যাত্রায় একটুকুর জন্য পাশ থেকে সরেননি স্ত্রী গরিমা। এদিন শেষকৃত্যের সময় উপচে পড়েছিল ভীড়। গায়ককে এদিন মুখাগ্নি করেন তার ছোটো বোন পামী বড়ঠাকুর। তার সঙ্গে ছিলেন গায়কের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অরুণ ও কবি ও গীতিকার রাহুল। এভাবেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় জুবিনের।
আরও পড়ুন,
মার্সিডিজ বেঞ্জ, রেঞ্জ রোভার, প্রয়াত জুবিন গার্গের সম্পত্তির পরিমাণ কত ছিল?
রবিবার গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে গায়কের মরদেহ যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে সেইসময় পথে পথে মানুষের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতন। এদিন মঙ্গলবার গায়কের অন্তেষ্টিক্রিয়ার সময় তার চার পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে আসা হয়। সোমবার অসম সরকারের তরফে গায়কের দেহ ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয় অসম সরকার। সেই রিপোর্টে জানা যায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তার। ফের ময়না তদন্তের কথা জানায় অসম সরকার। আর সেই কারণে অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হল মঙ্গলবার।