অসমের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের মৃত্যু ঘিরে এখনও কাটেনি রহস্যের ঘন কুয়াশা। মৃত্যুর প্রায় তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও উত্তর মিলছে না একাধিক প্রশ্নের। ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সাতজন। তবে স্বামীর জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জুবিনের স্ত্রী, গরিমা শইকীয়া গার্গ।
রবিবার সকালে নিজের সমাজমাধ্যমে জুবিনের একটি পুরনো ছবি ভাগ করে নেন গরিমা। ২০০২ সালে, বিবাহের পর একটি ম্যাগাজিনের জন্য তোলা হয়েছিল ছবিটি। ছবিতে লাল পাঞ্জাবি পরে আছেন জুবিন, আর গরিমার গায়ে রঙ মেলা শাড়ি, কপালে টিপ, সিঁথিতে সিঁদুর। ছবির সঙ্গে গরিমা লেখেন—
“আমাদের এই সম্পর্ক চিরন্তন। খুব শীঘ্রই আমরা আবার একসঙ্গে হব। তবে আপাতত আমাকে অনেক শক্তি দাও, যাতে তোমার সুবিচার পেতে পারি।”
১৯ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় জুবিন গার্গের। প্রথমে জানা যায়, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে, সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে গায়কের। মৃত্যুর সময় তাঁর শরীরে লাইফ জ্যাকেট ছিল না।
এই প্রসঙ্গে আগেও গরিমা জানিয়েছিলেন, স্বামীর মৃত্যুকে ঘিরে তাঁর মনে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে—“আমরা আবার একসঙ্গে থাকব। খুব শীঘ্রই দেখা হবে, গোল্ডি (জুবিনের ডাকনাম)। কিন্তু এখন আমার শুধু জানতে ইচ্ছে করে, কেন তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেলে? কেন?”
বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে অসম পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। অসমের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তদন্তে সন্তোষজনক উত্তর না মিললে, মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
অসমের মানুষের কাছে শুধু গায়ক নয়, এক আবেগের নাম ছিলেন জুবিন গার্গ। তাই তাঁর মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে ন্যায়বিচারের দাবি।