হড়পা বানে বিধ্বস্ত উত্তরখণ্ডের একাধিক এলাকা, জলের স্রোতে ভেসে গেলো একাধিক বাড়ি ও হোমস্টে

বর্ষার এই ভরা মরশুমে প্রতি বছর দেশ জুড়ে নানান জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা যেমন হয় তেমনই তার পাশাপাশি ধ্বস নামা কিংবা বাড়ি ঘর ভেঙে পড়া নতুন কোনও বিষয় নয়। বর্ষার এইসময় সবথেকে বিপদজনক অবস্থা হয় ভারতের উত্তরে থাকা পাহাড়ি রাজ্যগুলি। তার মধ্যে একটি হলো উত্তরাখণ্ড। মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তরাখণ্ড। একটানা বৃষ্টির ফলে হঠাৎ করেই উত্তরকাশীর ধারালী গ্রামে সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত হয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসে হড়পা বান।

আর সেই জলের স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসে কাদা, বড় পাথর ও বোল্ডার৷ আর এই স্রোতের গতির ফলে ভেঙে পড়ে একাধিক ইমারত ও বাড়ি। বর্তমানে সেই জায়গা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একসঙ্গে কাজ করছে। কোনও একটি জায়গায় অল্প সময়ের জন্য প্রচুর বৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। আর তার ফলে নদী এই অতিরিক্ত পরিমাণ জলের স্রোতকে নিয়ে আরও দ্রুত বেগে ধাবিত হতে থাকে।
IMG 20250806 153541 pJN3tre096

আর সেই স্রোতের ফলে উত্তরকাশীর হর্ষিল উপত্যকায় থাকা একাধিক বাড়ি ও ইমারতকে ধুয়ে নিয়ে চলে যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জায়গাটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে ১৫০ জন জওয়ান পৌঁছে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শুরু করেন। এদিকে সেইসময় হর্ষিলের সেনাছাউনি বানের জলে ভেসে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হড়পা বানের জলে ৪০-৫০রি বাড়ি ভেঙে পড়েছে।

IMG 20250806 153614 gG0iooFv6m

জানা যাচ্ছে, পাহাড় থেকে আসা জলের ধরায় থাকা পাথর, কাদার স্রোত ১৩.৫ একর এলাকাকে গ্রাস করে ভাগীরথীতে গিয়ো পড়েছে। এর পাশাপাশি খবর, গ্রামে থাকা ২০-২৫টি হোটেল হোমস্টে ভেসে গিয়েছে জলের স্রোতে। জলের তলায় ১০-১২ জন আটকে রয়েছেন। ঘটনাস্থলে ১৬ জন ইন্দো-তিবেতান বর্ডার পুলিশ রয়েছেন। প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। গোটা রাজ্য জুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি রয়েছে।

error: Content is protected !!