হিন্দু শাস্ত্র মতে মানুষের জীবনের চরম সত্য হল মৃত্যু। বাকি সমস্ত কিছু মিথ্যা। আমাদের একবার জন্ম হলে মৃত্যু হবেই। মৃত্যুর উর্ধ্বে কেউ নেই। হিন্দু শাস্ত্র বলে জীবনে সঠিক সময়ে মৃত্যু আসবে। আগেও আসবে না, পরেও আসবে না। মৃত্যু তার নির্দিষ্ট সময় আসবে। তাই মৃত্যু নিয়ে যারা ভয় পান কিংবা মৃত্যুকে অশুভ বলে মনে করেন তাদের ধারণা ভুল। কারণ মৃত্যু অশুভ নয়। শাস্ত্র মতে মৃত্যু হল শরীর থেকে প্রাণ ও আত্মা বেরিয়ে যাওয়া। আত্মা অবিনশ্বর তাই এটি অন্য দেহে ধারণ করে।
মৃত্যুর পর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। শাস্ত্রে বলা রয়েছে মৃত্যু শুভ। তাই কোথাও বেরোনোর আগে যদি কোনো মৃত মানুষ চোখে পড়ে তবে সেটি খারাপ নয়। মৃত দেহ শুভ। তবে মৃত্যুর পর দেহতে পচন ধরতে শুরু করে তাই সেটি সৎকারের জন্য একাধিক ব্যবস্থা রয়েছে নানান ধর্মে। তাই মৃত দেহ দেখে খারাপ চিন্তা করা বা এটিকে অশুভ ভাবার কোনো কারণ নেই।
এমন অনেকেই রয়েছেন যারা প্রতিদিন চলার পথে মৃতদেহর সামনে পড়েন। তখন সেটিকে অশুভ ভেবে পাশ কাটিয়ে চলে যাবেন না৷ এর ফলে মৃতদেহের প্রতি অসম্মান জানানো হয়। মৃতদেহ বা মৃতদেহ সৎকারের কাজ চলছে এমন জায়গা বা পরিস্থিতির সামনে পড়লে সেই জায়গায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তারপর যান।
মৃতদেহ দেখলে শিব নাম জপ করুন। পুরাণে বলা রয়েছে, মৃত্যুর পর শরীর থেকে আত্মা বেরিয়ে আসে। কিন্তু সেই স্থান দ্রুত ত্যাগ করে না৷ শরীর ত্যাগের দুঃখ থাকে তাই আত্মা সেই স্থানে কিছুক্ষণ থাকে। শিবের নাম তাই আত্মাকে শান্তি দেয়।
দেহ সৎকার চলাকালীন ভগবানের নাম করতে হয়। তাতে আত্মা শান্তি পায়। কোনো ব্যক্তির অপূর্ণ ইচ্ছের কথা সৎকারের সময় ভাবলে তা ভালো ফল দেয়। তাই রাস্তায় কখনও এমন পরিস্থিতিতে পড়লে পাশ কাটিয়ে চলে যাবেন না৷ বরং সেই গাড়িটিকে আগে যেতে দিন।