এই বছরের মতো দুর্গাপুজোর সমাপ্তি। বিচলিত সময় কেউ কেউ উৎসব থেকে বিরত ছিলেন, আবার কেউ কেউ যোগদানও করেছিলেন। আরজিকর কর্মকাণ্ড নিয়ে এখনো বাংলা উত্তপ্ত। এই কর্মকাণ্ডের পরই সৌরভ বলে ফেলেছিলেন বলাৎকার একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তারপর দশমীর দেবীর শেষ বেলায় ফটো শেয়ার করতেই কটাক্ষের সম্মুখে পড়েন দাদা।
সৌরভ গাঙ্গুলী সেদিন একটি ফটো শেয়ার করেন সমাজের মিডিয়ায়। ওইখানে তাকে দেখা যাচ্ছে দেবী দুর্গার সম্মুখে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। চোখের পলক না ফেলে এক দৃষ্টিতে দেবী দুর্গার মূর্তি দেখছেন। পরেনা ছিল নীল রঙের টিশার্ট এবং কালো রঙের প্যান্ট। এই চিত্রটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আসছে বছর আবার এসো মা’। তার এই শেয়ার করা দেখে অখুশি হয়েছে ইন্টারনেটের নাগরিকরা।
আসলে আরজি কর কর্মকাণ্ডের ঘটনার পর সৌরভ গাঙ্গুলী এবং তার সহধর্মিনী ডোনা গাঙ্গুলী দুজনেই বেমানান কথা বলে বসেন। দাদা বলাৎকার কে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলেছেন, অপরদিকে ডোনা গাঙ্গুলি আবার বলে বসেছেন, ‘রেপ টেপ সব জায়গাতেই হয়’। তাদের দুজনের এইরকম মন্তব্যের কারণে বিতর্ক আরো জ্বলে ওঠে। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এই ছবি শেয়ার করাতে তাকে আবার আক্রমণ করা হলো।
আবার অনেকেই তাকে শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তেমনি অনেকেই আবার তাকে নিয়ে উপহাস করেছেন। একজন লোক তাকে ধান্দাবাজ উপাধি দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, ‘বাংলায় শিল্প কবে আসবে’ লিখে। কেউ আবার উপহাস করে লেখেন, ‘হ্যাঁ মা আমার গায়ের চামড়া আরো মোটা করে দাও’।
তবে আরজিকর কর্মকাণ্ড নিয়ে যতই বেমানান কথাবার্তা বলুক না কেনো সৌরভ গাঙ্গুলী, পুজোর সময় একটি অনাথ আশ্রমে ২০০ টি শিশুর ভার নিয়ে সকলের মন কেড়ে নেয়। তিনি আপনজন অনাথ আশ্রমের সেই বাচ্চাগুলোর পড়াশোনা সহ সব ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।