বৈষ্ণোদেবী মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে রোপওয়ের সিদ্ধান্ত নিতেই ৭২ ঘন্টার ধর্মঘট স্থানীয় ব্যবসায়ীদের

বৈষ্ণোদেবীতে রোপওয়ে প্রকল্পের কথা শুরু হতেই সেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তরফে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সর্বমোট ৭২ ঘন্টা বনধ্ ডাকা হয়েছে। এই ৭২ ঘন্টার মধ্যে ৪৮ ঘন্টা প্রায় অতিবাহিত হতে চলেছে। রবিবার অর্থাৎ আগামীকাল পর্যন্ত এই বনধ্ চলবে। কিন্তু এই বনধ্ তারপরেও একইভাবে চলবে কিনা তা জানা যায়নি।

আর এরফলে তীর্থযাত্রা করতে যাওয়া পুণ্যার্থীরা সমস্যায় পড়েছেন। বৈষ্ণোদেবীতে পৌঁছানোর জন্য পুণ্যার্থীরা অনেকেই ঘোড়ার পিঠে কিংবা ডুলি চেপে সেখানে পৌঁছোন। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট তাদের এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। আর তাই বর্তমানে পুণ্যার্থীরা পায়ে হেঁটে পাহাড়ি রাস্তা অতিক্রম করছেন।

এদিকে ধর্মঘটকারী ব্যবসায়ীদের দাবি, ঘোড়া বা ডুলির কাজ যারা করেন সেই পেশায় অনেক মানুষ নিযুক্ত। এই ব্যবসা করে তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়। তাই মন্দিরে যাওয়ার রোপওয়ে করলে তাদের ব্যবসায় ধ্বস নামবে। তাই রোপওয়ে প্রকল্প শুরু হওয়ার আগে সেখানকার ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট শুরু করেছেন।

এদিকে বৈষ্ণোদেবী মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা হল, তারাকোট মার্গ থেকে সাঁঝি ছট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পথে রোপওয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এরফলে পুণ্যার্থীদের মন্দিরে পৌঁছোতে সুবিধা হবে। আর এই প্রকল্পের কথা শোনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যবসায়ীরা।

ঘোড়া ও ডুলি বাহকরা কর্মবিরতি নেওয়া শুরু করেন। তারা কাটরার শালিমার পার্কে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করছেন। এদিকে হঠাৎ করে বনধ্ ডাকায় পুণ্যার্থীরা সমস্যায় পড়ছেন। খাঁড়া পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে হেঁটে উঠতে হচ্ছে তাদের।

error: Content is protected !!