গত ৮ই আগস্ট রাজ্যের রাজধানীর বুকে একটি ব্যস্ততম সরকারি হাসপাতালে ঘটে গিয়েছে নারকীয় ঘটনা। সেই ঘটনার ১৩ দিন পেরিয়ে গেছে। এই ১৩ দিনে রাজ্যের মানুষ দেখেছে অনেককিছুই। গোটা রাজ্য সহ দেশের মানুষ প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। এর পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও দেখা গিয়েছে প্রতিবাদের ঢেউ। এই প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। সেই দলের এক প্রার্থী হলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকলের মতন তিনিও প্রতিবাদের জন্য গলা মেলালেন। সকলে যখন ওই মৃত তরুণী চিকিৎসকের বিচার চেয়ে প্রতিবাদে গলা মেলাচ্ছেন সেইসময় সায়ন্তিকাকে দেখা গেলো অন্য রূপে। মঞ্চে সকলে গান গাইছেন ‘আগুনের পরশমণি।’ আর সেই গানের সঙ্গে গিটার বাজাচ্ছেন সায়ন্তিকা। আর এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এই গিটারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সকলেই তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। জনপ্রিয় ইউটিউবার কিরণ দত্ত বলেন, “আজ থেকে গিটার বয়কট করলাম।” আরেকজন লেখেন, “লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, তিন থাকতে নয়। এরা সবকিছুর উর্ধ্বে।” আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “এটা অনেকটা ঋতুপর্ণার শঙ্খ বাজানোর মতন।”
এই ঘটনা নজরে আসে টলি পাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু কামালের। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “এটা বড্ড দৃষ্টকুটু। এক সময় বাংলার রাজনীতির দিকে গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে থাকতো। স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাংলার রাজনীতির ভূমিকা ছিল অগ্রণী। আজও ২০২৪ এ বাংলার রাজনীতির ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু এগুলো কী? পেছনে বসে থাকা মা বোনেরাও কি মানতে পারছেন?”
এরপর তিনি আরও বলেন, “যে বা যারা টিকিট দিলেন, একবারও ভাবলেন না! ওর স্বাদ, ওর শখ, ওর রাজনৈতিক জ্ঞান সম্বন্ধে? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বাংলার রাজনীতিকে! ট্রাজেডি না কমেডি, বিরহ না আনন্দ! অনুভূতিটা বুঝতেই পারছি না।” সায়ন্তিকার গিটার বাজানোর ভিডিও নিয়ে ট্রোল হওয়ার পর তিনি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, তিনি এগুলি নিয়ে এখন আর কিছু ভাবেন না।
আরও পড়ুন,
*‘মন খারাপ থাকে, উদাস হয়ে যাই…!’ হঠাৎ এ কথা কেন বললেন জিৎ?