হাসপাতালের শৌচাগারে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে দেখতে পাওয়ার পর তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক ছুটে আসেন। এরপর ওই ব্যক্তিকে দেখেই চিকিৎসক জানান তিনি মৃত এবং তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যত হতেই মৃত ব্যক্তি নড়াচড়া করে ওঠেন৷ ওই ব্যক্তি উঠেই চিৎকার করে বলেন, “আমি তো বেঁচে আছি।” আর এই ঘটনার পর সকলেই চমকে যান।
এমনই ঘটনা ঘটেছে বিহারের নালন্দা জেলার একটি হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে, বিহার শরিফ হাসপাতালে দোতলার শৌচাগারে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকতে দেখেন সাফাইকর্মীরা। এরপর তারা একাধিকবার দরজা ধাক্কা দিলেও কেউ ভিতর থেকে দরজা খোলেননি। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে একজন যুবক ভিতরে পড়ে রয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাকে ডাকাডাকি করে সাড়া পাওয়া যায়নি।
অবশেষে এক চিকিৎসককে সেখানে ডেকে আনা হয়। জানা যাচ্ছে, সেখানে একজন সিভিল সার্জেন কর্মরত ছিলেন। তাকে ডেকে আনা হলে তিনি নাড়ি পরীক্ষা না করেই বলেন ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু কীভাবে হলো তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন তিনি৷ এদিকে ময়নাতদন্তের জন্য যখন তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেইসময় ওই যুবক নড়াচড়া করে ওঠেন।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম রাকেশ কুমার৷ তিনি সদর হাসপাতালে ওষুধ কিনতে এসেছিলেন। ওষুধ কিনতে এসে হাসপাতালের পিছনে নেশা করেন৷ শেষে বাথরুমে গেলে সেখানে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। সেখানেই জ্ঞান হারান ওই যুবক। তাই পরের দিন সকালে ডাকে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া দেননি তিনি। গোটা ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর হাসির রোল উঠেছে হাসপাতাল জুড়ে।