কোন নির্দেশনা ছাড়াই প্রথমবারেই ইউপিএসসি পাস! অনেক হিন্দি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন আইপিএস যুবতী

kmc 20240927 213545 YGyTSNjk4k

একদিকে আইপিএস হওয়ার আসা অপরদিকে বৃহৎ পর্দায় অভিনেত্রী হওয়ার বাসনা। দুটি কাজ বিপরীত হলেও তিনি দুটি কর্মকেই একসাথে গ্রহণ করেছেন। সবেমাত্র ২২ বছর বয়সে কোন নির্দেশনা ছাড়াই প্রথমবারেই ইউপিএসসির মতো শক্ত মূল্যায়নে পাস করেছেন সিমলা প্রসাদ। তাকে আবার হিন্দি পর্দায়ও অভিনয় করতে দেখা গেছে।

১৯৮০ সালে অক্টোবর মাসে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে উদ্ভব সিমলার। আইএএস দখলকারী হিসাবে পরিচিত ছিলেন সিমলার বাবা ভাগীরথ প্রসাদ। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের ভিন্ডের সাংসদ ছিলেন ভাগীরথ প্রসাদ। এছাড়া মধ্যপ্রদেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারি আচার্য ছিলেন তিনি।

সিমলার মাতার নাম মেহেরুন্নিসা পারভেজ। “আম্মা “, “সামার”, “অযোধ্যা সে ওয়াপসি” নামে অনেক বই লিখেছেন মেহরুন্নিসা।তিনি সাহিত্য জগতে দরখাস্তের জন্য ২০০৫ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন। পিতা-মাতা উভয়ই সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তি। পিতার পথ অনুসরণ করে সিমলাও আশা করেন আইপিএস হওয়ার। সিমলার তবে তার পাশে ছোটবেলা থেকেই উৎসাহ ছিল নৃত্য ও অভিনয়ের প্রতি।

সিমলা মধ্যপ্রদেশের একটি বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সমাপ্ত করে ভোপাল এর একটি কলেজে বিকম পড়েন। তিনি এরপর সমাজবিদ্যা নিয়ে বিএ পাশের ডিগ্রী প্রাপ্ত করেন। সিমলা বিদ্যালয়ে থাকার সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য করতেন।তিনি অভিনয় করতেন নাটকে। তিনি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর অভিনয় নিয়ে চলার কথা ভাবতে আরম্ভ করেন।

কলেজের পড়াশোনা সমাপ্ত করার পর রাজ্য সরকারের মূল্যায়নের জন্য উদ্যোগ নিতে আরম্ভ করেন। মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হয়ে ডেপুটি পুলিশ সুপার পদে যুক্ত হয় তিনি।
সিমলা চাকরি পাওয়ার পর ইউপিএসসির মূল্যায়নের জন্য উদ্যোগ নিতে শুরু করেন। কোন নির্দেশনায় ভর্তি হনি তিনি। কঠিন পরিশ্রম এবং কর্মের জন্য প্রথমবারই ইউপিএসসির মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হন তিনি।

২০১০ সালে ইউপিএসসি মূল্যায়নে সারা ভারতে ৫১ নম্বরে নাম দেখতে পাওয়া যায় সিমলার। মধ্যপ্রদেশের আইপিএস অধিকারী হিসেবে যুক্ত হয় তিনি। আইপিএস হওয়ার আশা পূরণের পর অভিনয় জগতের মনস্কামনা পূরণ হয় সিমলার। ২০১৬ সালে পরিচালক জাইঘাম ইমাম তার সিনেমা ‘আলিফ’-এ কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেয় সিমলাকে। এই সিনেমায় আইপিএস এর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় সিমলাকে।

‘আলিফ’ সিনেমায় সিমলার অভিনয় খ্যাতি লাভ করে। জাইঘামের পরের সিনেমা ‘নাক্কাশ’-তে অভিনয়ের জন্য সুবিধা পায় তিনি। ওই ছবি ২০১৯ সালে শুভ মুক্তি পায়। ২০১৯ সালের পর থেকে সামাজিক কাজে আটকে পড়েন সিমলা। তিনি তার প্রতিদিন জীবন সম্বন্ধে ভক্তদের অবগত রাখেন তিনি।
ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে সবার প্রিয় হয়ে উঠেছেন সিমলা। তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ভক্তের সংখ্যা ১১ হাজারের বেশি পার করেছে। খুব তাড়াতাড়ি জাইঘাম পরিচালিত ‘দ্য নর্দমা স্টোরি’ সিনেমায় সিমলার অভিনয় দেখা যাবে। তিনি এই সিনেমায় রঘুবীর যাদব, মুকেশ তিওয়ারির মতো অভিনেতাদের সাথে অভিনয় করেছেন।