দীর্ঘ ৫৬ বছর পর উদ্ধার করা হলো বিমান দুর্ঘটনায় মৃত সেনা কর্মীর মৃতদেহ। এই দেহ উদ্ধার করেন ভারতীয় সেনারা। এই ঘটনা সামনে আসার পর ভারতীয় সেনার আরও এক প্রশংসনীয় কাজ যা সকলেই বাহবা দিয়েছেন। যদিও আরও বহু নিখোঁজ রয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে। আগামী ১০ই অক্টোবর পর্যন্ত এই তল্লাশি অভিযান চলবে বলে জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন নিহত সেনা থমাস চেরিয়ান।
তার দেহ উদ্ধারের পর সেই খবর তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এই খবর পেয়ে তার পরিবারের তরফে জানানো হয়, “আমরা বুঝতে পারছি না কীভাবে পরিস্থিতির বর্ণনা করব। আমরা একইভাবে আনন্দিত এবং দুঃখিত।” তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এমন কাজ যা প্রশংসা পেয়েছে। এছাড়া এটি দেশের দীর্ঘতম উদ্ধার বলেও সেনা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।
ভারতীয় সেনা তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে হিমাচল প্রদেশের দুর্ঘটনা স্থল থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তারা হলেন মালখান সিং, সিপাহী নারায়ণ সিংহ, থমাস চরণ। চতুর্থ জনকে শনাক্ত করা যায়নি। এই উদ্ধার কাজ চলছে ২০১৯ সাল থেকে। এখনও পর্যন্ত ৯জন সেনাকর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের শনাক্ত করা গিয়েছে তাদের পকেটে থাকা পেবুক থেকে।
এই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৮ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় বিমানের একটি বিমান চণ্ডীগড় থেকে লেহ-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কিন্তু হিমাচল প্রদেশের রোটাং পাসের কাছে এসে বিমানটির সবরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর এরপর সেটি ভেঙে পড়ে। ওই বিমানে ছিল ১০২ জন ভারতীয় সেনা। দুর্ঘটনার পর ওই স্থানে ২০০৫, ২০০৬, ২০১৩ ও ২০১৯ সালে টানা তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এবার অভিযান চালিয়ে আরও ৪টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে রেওয়ারির ডিসি অভিষেক মীনার কথায়, যে সামরিক অভিযান দল বরফ ঢাকা পাহাড় থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।