সবার মুখে একই প্রশ্ন এতদিন ধরে সি বি আই এর হাতে তুলে দেওয়া সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কোনো রকম সুখবর পাওয়া যাচ্ছে না কেনো। সর্বশেষে দেখা গেল ৫৭ দিনের মাথায় শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই জমা দিলেন প্রথম চার্জশিট। এই শীটে উল্লেখ ছিল মেইন কালপিট সিভিক ভলেন্টিয়ার এর নাম। আইনজীবীর কাছে জেরক্স কপি জমা দিলেন সিবিআই শিয়ালদহ আদালতে। সেই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর হাতে যখন হস্তাক্ষর করার মাধ্যমে চার্জশিট টি দেওয়া হলো তিনি নাকচ করলেন সবকিছু ,তিনি বললেন এই ব্যাপারে সে কিছুই জানেন না। সর্ববৃহৎ লিখিত সংবিধান ভারতীয় সংবিধানের ন্যায় ধারা অনুসারে ৬৬ নং ধারা ৬৭ নং ধারা এবং 101 নং ধারা অনুযায়ী তাকে অর্থাৎ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই ধারাগুলিতে ছিল ধর্ষণ,অচৈন্য অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও তাকে ধর্ষণ এবং খুন।
মেইন কালপিটকে মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতে উপস্থিত করানোর পরে তিনি জানান তিনি কিছু বলতে চান। তিনি নাকি আগের দিন কিছু বলতে চেয়েছিলেন কিন্তু কিছু বলতে পারেননি। তাকে উকিল যখন বললেন আপনি বলুন যা বলতে চান ,তখন তিনি বলেন তিনি কিছুই জানেন না ,কিছুই করেননি। আরো বলেন যদি তিনি আজ কিছু না বলেন তবে সমস্ত দোষ তো তার ঘাড়ে চাপবে। শোনা মাত্রই জাজ তাকে বলেন আপনার যা বলার আপনি বলুন। সিভিক ভলেন্টিয়ার তার বক্তব্য বলার পর তাকে কালেক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
আগস্ট মাসের ৯ তারিখে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনা যার বিচার আজও মিলেনি, মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। আরজি কর হসপিটালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, গণধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছে এমন একটি মৃতদেহ যার বিচার তার মা বাবা সহ পুরো দেশবাসী এখনো চাইছে। সেই মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনার প্রকৃত দোষীকে কাঠগড়ায় যখন দাঁড় করানো হল তখন ৯ থেকে ১০ টি প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে। সূত্রের মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে যে তাকে যে পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে তার উত্তর সন্তোষজনক ছিল না গোয়েন্দা বিভাগ। কারণে তারা নারকোটেস্টের কথা তুলেছিলেন কিন্তু পলিগ্রাফ টেস্ট বা নারকোটিস্টের জন্য দোষীর মঞ্জুরী অবশ্যই প্রয়োজন পড়ে যেটা দিতে তিনি বাঁধা দিয়েছেন।
প্রধান দোষীর উকিল জানিয়েছেন চার্জশিটে যে সকল ছবির উল্লেখ তারা করেছেন ,সেই ছবিগুলি কোথায় এখনো পর্যন্ত কেন তাকে দেখানো হয়নি।প্রতিউত্তরে সিবিআই বললেন ছবিগুলো পরে দেবেন। এমনকি দোষীর উকিল এও জানিয়েছেন যেখানে ঘটনা ঘটেছিল সেই ঘটনাটি স্থলে গিয়ে খুঁটিনাটি পরীক্ষা করতে চান জানালেন আদালতকে।
সপ্তাহের শুরুতেই সোমবারের শেষে মঙ্গলবারে যখন প্রধান দোষীকে ৫৮তম দিনে তোলা হয় শিয়ালদহ আদালতে ।তখন যে জেরক্স কপির চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, উকিলের কাছ থেকে সই নিয়ে প্রধান দোষীকে দেওয়া মাত্রই সে বললেন “আমি কিছুই করিনি ” আরোও বলেন “আমি কিছুই জানিনা”।
সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতের কাছে ক্লেম করেছে পরবর্তীকালীন যে বিচার হবে সেটা যেন অবশ্যই ক্যামেরার মধ্যে আবদ্ধ করা হয়।