হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও একটা বয়সের পর ওজন কমানো মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। এ দিকে, বাড়ির লোকের কথা শুনে খাওয়াদাওয়া প্রায় বন্ধ করে ফেলেছেন। কিন্তু ওজনে কোনো পরিবর্তন না আসায়, বিষয়টা কেউই বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। আসলে ৪০-এর পর একটু একটু করে বিপাকহার কমতে শুরু করে। তাই ওজন ঝড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। একটু লাগবে, নিয়মিত মাত্র কয়েকটি কাজ করতে পারলে ওজন কমানো সম্ভব।
১) ডায়েট থেকে চিনি অথবা মিষ্টি জাতীয় দ্রব একেবারেই বাদ দিতে হবে। আমরা সকলেই জানি ওজন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হল শর্করা। ডায়েটে শর্করার মাত্রা কমিয়ে আনলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ফলে সকাল সকাল চিনি দেওয়া দুধ চা, দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর মিষ্টিমুখ, আর রাত জেগে সিনেমা দেখার সময়ে কেক, চকোলেট আরো ইত্যাদি ইত্যাদি খাওয়া— এই সব বদ অভ্যাসে রাশ টানা অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন,
*মুখ ভরে গেছে ব্রণতে, ক্রিম মাখলে সমস্যা হবে না তো?
*শত যত্ন সত্ত্বেও চুল পড়ছে? এই খাবারগুলি থেকে দূরে থাকলেই সুফল মিলবে
২) নিয়ম করে প্রাতরাশ করতে হবে। প্রাতরাশে ফাঁকি দিলে চলবে না। সারা দিন অল্প অল্প করে খাবার বার বার খাওয়ার অভ্যাস করুন। রাতের খাওয়া ৮টার মধ্যে সেরে নিতে পারলে খুবই ভাল। যদি সেটা না করতে পারেন তবে খাওয়ার অন্তত দু’ঘণ্টা পর ঘুমোতে যান।
৩) ডায়েটে ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি বেশি রাখতে হবে। খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকলে হজমপ্রক্রিয়া ভাল হয়। খাবার ভাল হজম হলে শরীরে মেদ কম জমে। পাশাপাশি ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের মাত্রা কমিয়ে প্রোটিন মাত্র বেশি রাখতে হবে।
৪) অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও ওজন বেড়ে যায়। আর মানসিক চাপ কমাতে ঠিক ঠাক ঘুম ভীষণ জরুরি। রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তাতে বদল আনতে হবে। শরীর চাঙ্গা রাখতে চাইলে দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুম পূরণ করতে হবে।
৫) শরীরের ওজন বাড়লে হাজার রকম রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই ফিট থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরী। জিমে যেতে না চাইলে বাড়িতেই কার্ডিয়ো ব্যায়াম করুন। এ ছাড়া, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, জগিং, সাইক্লিং করতে পারেন। এনমকি যোগাসনেও ভরসা রাখতে পারেন। আপনার শরীর যত সচল থাকবে হজমপ্রক্রিয়াও ততই ভাল হবে, পাশাপাশি ওজনও বাগে থাকবে।
আরও পড়ুন,
*Virat Kohli: শ্রেষ্ঠত্বের সংজ্ঞা কি? জানেন না কোহেলি, প্রতিদিন উন্নতি তাঁর একমাত্র লক্ষ্য
*হাঁটাহাঁটি না কি যোগাসন, দ্রুত রোগা হতে ভরসা রাখবেন কোন উপায়ে?