গতকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা সহ পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলগুলি নিয়ে প্রশাসনের তরফে অনেক বেশি তৎপর থাকতে দেখা গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে তখন বাইরে এলোমেলো পরিস্থিতি। সেইসময় আশ্রয়শিবিরে স্থান নেওয়া এক প্রসূতির হঠাৎই প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। সেইসময় দূর্যোগ উপেক্ষা করে ওই মহিলাকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেইসময় ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র গতি তখন অনেক বেশি। কিন্তু দূর্যোগকে উপেক্ষা করে ওই প্রসূতিকে যাতে ঠিক মতন হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা হয়। এরপর সময় মতন প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মহিলা পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
যেভাবে দূর্যোগের মধ্যে মহিলাকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে মহিলাকে সুস্থভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্য ওই মহিলার স্বামী ও বাড়ির সদস্যরা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছেন৷ এমন ঘটনা বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছিল কটকে। সেখানে অনেকেই আশ্রয় নেন। সেই জায়গায় সাই স্বপ্না বেহরা নামে এক মহিলা ছিলেন। তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন৷ বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই তার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। সেইসময় বাইরে ‘ডানা’-র দাপট শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত সাহস দেখায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
তারা ওই মহিলাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। ‘ডানা’-র তান্ডবের মধ্যে ওই মহিলা পুত্র সন্তান প্রসব করেন। পুত্র সন্তান জন্ম হওয়ার পর তার নাম রাখেন ‘ডানা’। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে ৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ছিলেন ৬০০০ প্রসূতি। তাদের সকলকে তড়িঘড়ি পাঠানো হয় হাসপাতালে। ওই ৬০০০ প্রসূতির মধ্যে ১৬০০ জন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।