চার মাস ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে খোঁজ মিলল মহিলার দেহ। খোদ জেলাশাসকের বাংলোর সামনে খোঁজ মিলেছে ওই মহিলার দেহ। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে মৃতা মহিলার দেহটি৷ এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পুলিশকে। কারণ ধৃত কোনো ফোন ব্যবহার না করার ফলে তাকে ধরতে সমস্যা হচ্ছিল।
এই কারণে আগ্রা, পুণে, পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন জায়গার পুলিশ এই তদন্তে নামে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃত মহিলাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ঘটনাটি কী? পুলিশ সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, কানপুর গ্রীন পার্ক এরিয়াতে একটু জিমে আসতেন ওই মহিলা। এরপর ধীরে ধীরে জিমের ট্রেনার বিমল সোনির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার।
ওই ট্রেনার কানপুর রায়পুরওয়া এলাকার বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি ওই জিম ট্রেনারের বিয়ে ঠিক হয়৷ আর এরপর ওই মহিলা তা জানতে পেরে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমলের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়৷ এই ঘটনার ২০ দিন পর জিমে যান ওই মহিলা৷ ধৃতের কথায়, ওইদিন বিয়ের বিষয়ে একটি গাড়ির মধ্যে বসে তাদের কথা হচ্ছিল৷
সেইসময় তাদের মধ্যে তর্ক বাঁধে। তখনই রাগের বশে ওই মহিলাকে ঘুষি মারেন অভিযুক্ত। তাতে ওই মহিলা জ্ঞান হারান। জ্ঞান হারানোর পর তাকে ওই অভিযুক্ত খুন করে মহিলার দেহ পুঁতে দেন। এই বিষয়ে উত্তর কানপুরের ডিসিপি শ্রবণকুমার সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত কোনো ফোন ব্যবহার না করায় তাকে ধরতে বেগ পেতে হয়েছে তবে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা দেখা হচ্ছে।