ফের বিমান দুর্ঘটনা। এবার বিমান দুর্ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে। বিমানটি ছিল বায়ুসেনার একটি বিমান। বিমানটি সোমবার দুপুরে রানওয়ে থেকে ওড়ার ১২ মিনিট পরে হঠাৎই ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনা ঘটার পর সেখানে আগুন ধরে যায়। সেইসময় স্কুলে ক্লাস চলছিল। আর কিছুক্ষণ পরই ছুটি হত স্কুল। তার ঠিক আগের মূহুর্তেই ঘটে যায় এমন ভয়ানক দুর্ঘটনা। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। যাদের অধিকাংশের বয়স ১২ বছরের কম। বাকি আর দু’জন হলেন বিমানের পাইলট ও ওই স্কুলের শিক্ষিকা। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার বাংলাদেশের সময় সকাল ৮টা নাগাদ জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী চিকিৎসক মহম্মদ সায়েদুর রহমান একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি মৃত ও আহতের তালিকা দেন। ইতিমধ্যে ২০জনের দেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাকি মৃতদের দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে তা সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের চেনার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার কথা জানিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও মৃত্যু হয়েছে অনেকের। সবমিলিয়ে আহতের সংখ্যা জানা যাচ্ছে ১৭০ জন। বিমান ভেঙে পড়ার পর সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়৷ রাত পেরিয়ে যাওয়ার পরেও উদ্ধারকাজ চলে। বিমান ভেঙে পড়ার পর সেখানে আরও কেউ আটকে পড়েছেন কিনা তারই খোঁজ চলছে।
তথ্য অনুযায়ী, যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে সেটি এফটি-৭ বিজিআই বিমান যা চিনের একটি সংস্থা তৈরি করে। বিমানটি দুই আসন যুক্ত ও একক ইঞ্জিন বিশিষ্ট। সোমবার মহড়ার সময় ভেঙে পড়ে বিমানটি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী, ওই বিমানে ছিলেন একজন পাইলট। এফটি-৭ বিজিআই বিমানটি সোমবার দুপুরে ঢাকার কুর্মিটোলার বিমানঘাঁটি থেকে উড়েছিল। এরপর ১২ মিনিটের মাথায় সেটি ভেঙে পড়ে। কী কারণে এমনটা হলো তা এখনও স্পষ্ট নয়।
যদিও আইএসপিআর তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটি ওড়ার পর তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি লক্ষ্য করে পাইলট। যদিও পাইলট চেয়েছিলেন একটি ফাঁকা জায়গায় বিমানটি অবতরণ করাতে। কিন্তু তার সুযোগ আর সম্ভব হয়নি। ঢাকার একটি স্কুলের উপর ভেঙে পড়ে বিমান। বিমানটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা ঘটার পরই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স আসে এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।