এবার ‘হাতকাটা’ পোশাক বিতর্কে টলিউড অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য্যকে সমর্থন জানালেন আরেক বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। মমতা শঙ্কর তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য প্রায়শই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। ফের ‘হাতকাটা’ পোশাক বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিলেন মমতা শঙ্কর। এর আগে তিনি মহিলাদের শাড়ির আঁচল প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন। আর সেই মন্তব্যের প্রচুর চর্চাও হতে দেখা গিয়েছে। গোটা সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছিল সেই চর্চায়।
সম্প্রতি কিছুদিন আগে মহিলাদের ঋতুচক্রের কারণে অন্যতম দরকারি জিনিস স্যানিটরি ন্যাপকহন প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ সমালোচনার শিকার হন। এবার যদিও মমতা শঙ্কর সরাসরি মন্তব্য না করলেও বিতর্কিত বিষয়ে নিজের মতামত রাখলেন। গত কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে ‘হাতকাটা’ পোশাক বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় টলিউড অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য্যকে।
শ্বেতা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “১৬ বছর আগে আমাকে একজন হাতকাটা ব্লাউজ দিয়ে পরতে বলা হয়। সেইসময় আমি বলেছিলাম হাতকাটা ব্লাউজ পরতে পারবো না। তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি কাজ করবে কী করে? এখানে তো শরীর দেখাতে হয়।” এবারে শ্বেতার ‘হাতকাটা’ পোশাক পরতে রাজি না হওয়ার বিষয়ে মমতা শঙ্কর মন্তব্য করেছেন, “শ্বেতার যদি মনে হয়ে থাকে, ও হাতকাটা পোশাকে স্বচ্ছন্দ নয়, তার মানে সত্যিই এই ধরনের পোশাকে ও অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক সময় অনেক পোশাক পরলে যদি আমি অস্বস্তিতে ভুগি তা হলে অভিনয় থেকে মনটা অন্য দিকে চলে যায়। কারণ, সারা ক্ষণ তখন আমি পোশাক ঠিক করতেই ব্যস্ত থাকব। এতে কাজের ক্ষতি হবে। আমার মনে হয়, চরিত্রের স্বার্থে সত্যিই যদি এই ধরনের পোশাক ওকে পরতে হয়, তা হলে শ্বেতা আপত্তি করবে না। অকারণে কেউ এই ধরনের পোশাক পরতে বললে ও আপত্তি জানাবে।”
মমতার মন্তব্য, “চরিত্রের খাতিরে, চিত্রনাট্যের দাবিতে আমরা অনেক সময়েই অন্য রকমের পোশাক পরি। আমিই যেমন মৃণাল সেনের ছবি ‘মৃগয়া’তে ব্লাউজ ছাড়া খাটো শাড়ি পরেছিলাম। কারণ, ছবিতে সাঁওতাল রমণী সাজতে হয়েছিল। সে কথা আলাদা। ওই ছবিতে ওই রকম পোশাকই দাবি করেছিল। তা বলে, যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে কেন ওই ধরনের পোশাক পরব!”