১৯২৬ সালের ৩১শে আগস্ট সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন ‘পথের দাবি।’ আগামী বছর ৩১শে আগস্ট সেই উপন্যাসের ১০০ বছর পূর্ণ হবে। আর এই উপন্যাসের বিষয়বস্তু নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসতে চলেছে টলিউডের পরিচালক সৃজিত মুখার্জির আগামী ছবি ‘এম্পারর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’। ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে শ্যুটিং।
তবে ছবির নামের সঙ্গে এম্পারর শব্দটি কেনো জড়িয়ে রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, ইংরেজ আমলে আদালতে মামলা উঠলে ‘এম্পারর’ শব্দটি ব্যবহার করা হত। যেমন ‘এম্পারর ভার্সেস অরবিন্দ ঘোষ’। তেমনই এই ছবিটির নামকরণ এভাবেই হয়েছে। এছাড়া এই উপন্যাস প্রকাশিত হবার পর দেশ জুড়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন আরও জোড়ালো হয়। যার ফলে ১৯২৭ সালের জানুয়ারি মাসে ব্রিটিশ সরকার বইটি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
এর ফলে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সেইসময় ওই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং। ব্রিটিশ শাসনকালের ভারতবর্ষ কিংবা শাসকের বিরুদ্ধাচারণ আজও কীভাবে ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে ঠেলে দেয় সেই পটভূমি নিয়েই সৃজিত মুখার্জির আগামী ছবি হতে চলেছে এটি। ছবিটি সৃজিত মুখার্জির পরিচালনার পাশাপাশি রয়েছে যৌথ প্রযোজনায় শ্রীকান্ত মোহতা-মহেন্দ্র সোনির এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থা এবং রানা সরকারের দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া।
তবে সৃজিত মুখার্জির এমন ছবি বেছে নেওয়ার পিছনে কারণ কী? এর উত্তরে পরিচালক বলেন, “বরাবর নানা স্বাদের ছবি বানিয়ে এসেছি। এ বছরেই যেমন মুক্তি পেয়েছে ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’, ‘কিলবিল সোসাইটি’। একটির সঙ্গে আর একটির বিষয়ের কিন্তু কোনও মিল নেই। সেই জায়গা থেকেই আমার এই বিষয়টিকে বেছে নেওয়া।” চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ছবিটির শ্যুটিং শুরু হয়ে যাবে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর ২০২৬-এর ১লা মে মুক্তি পেতে পারে ছবিটি।
পরিচালক জানিয়েছেন, সেইসময় বিশেষ ব্যক্তিত্বদের ছবিতে দেখতে পাওয়া যাবে। ছবিতে কে কে অভিনয় করছেন সেই বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি পরিচালক। তার কথায়, “বাছাইপর্ব চলছে।” যদিও ১৯৭৭ সালে পীযুষ বসু পরিচালিত ‘সব্যসাচী’ ছবিটি মুক্তি পায়৷ তাতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন উত্তম কুমার। সৃজিত এই প্রসঙ্গে বলেন, “উত্তমকুমার অভিনীত ছবিটি শুধুই ‘পথের দাবি’ উপন্যাসকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল। আমার ছবিতে তৎকালীন সময়, উপন্যাস নিষিদ্ধ হওয়া- এগুলো থাকছে। দুটো ছবির সাদৃশ্য খুঁজতে যাওয়া তাই বৃথা।”