‘আমার চোখের সামনেই পরিণতি পেল ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রেম’: বন্ধু বিশুর স্মৃতিচারণে ঢেউ তুলল শোক

হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই—এই খবর সোমবার সকালেই ছড়িয়ে পড়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু পরিবারের তরফে খবর প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় প্রথমদিকে অনেকে তা বিশ্বাসই করতে চাননি। তবে শ্মশানের সামনে পৌঁছে প্রিয় বন্ধুর শেষ যাত্রা নিজের চোখে দেখে স্তব্ধ হয়ে যান অভিনেতা-পরিচালক বিশু, যাঁর স্মৃতিচারণ থেকেই উঠে আসে আনকথা বহু গল্প, অকৃত্রিম বন্ধুত্বের কাহিনি এবং ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী প্রেমের বাস্তব অধ্যায়।

শ্মশানে সানি-ববির কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিশু

ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্যের সময় সানি দেওল ও ববি দেওলের সঙ্গে দেখা হয় বিশুর। দুই ভাই তাঁকে জড়িয়ে ধরেই ভেঙে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানোর বহু স্মৃতিই মনে পড়ে যায় বিশুর—
“‘‘ইস পার জ়োর নহি’’-র শুটিংয়ে গোয়ায় বাবার সঙ্গে গিয়েছিলাম,’—সানি তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ববিও জানান অন্য এক ঘটনা—যখন বাবা ধর্মেন্দ্রর সামনে দাঁড়িয়েই ছবির গল্প শুনেছিলেন তারা।

মাঠ থেকে মুম্বইয়ে—ধর্মেন্দ্রর কিংবদন্তি যাত্রা

পঞ্জাবের গ্রাম থেকে উঠে আসা ছেলেটি যে একদিন হিন্দি সিনেমায় ‘হি-ম্যান’ নামে পরিচিত হবে, তা বিশ্বাস করা কঠিন—এমনটাই জানান বিশু।
দিলীপ কুমারের অনুপ্রেরণাতেই অভিনয়ের জগতে পা রাখা ধর্মেন্দ্র অল্প সময়েই গড়ে তোলেন নিজের স্টারডম। বিশুর সঙ্গে ৬-৭টি ছবিতে কাজ করেছেন। পরিচালনাতেও ধর্মেন্দ্র তাকে প্রথম সুযোগ দেন।
ধর্মেন্দ্র প্রায়ই বলতেন—
“বিশু, ক্ষেতে লাঙল চালানো ছেলেকে দেশের মানুষ স্টার বানিয়েছে।”

এক থালার বন্ধু—এক ঘরের সঙ্গী

বহুদিনের এই বন্ধুত্বে ছিল সরলতা আর অকৃত্রিমতা। শুটিং শেষ হলে দু’জনে একসঙ্গে খেলতেন ব্যাডমিন্টন। গরমে ধর্মেন্দ্রর বাড়ি থেকে আসত ঠান্ডা ছাস—যা দু’জনে ভাগ করে খেতেন।
ধর্মেন্দ্রর খোলা মনের চরিত্র বিশুর স্মৃতিতে যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

ধর্মেন্দ্র-হেমা: প্রেম বাস্তবে পরিণতি পাওয়ার সাক্ষী বিশু

বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম রোমান্টিক জুটি ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী। সেই প্রেমের সূচনা থেকে পরিণতি—সবটাই দেখেছেন বিশু।
‘কহতে হ্যায় মুঝকো রাজা’ ছবির জন্য ধর্মেন্দ্র ও হেমাকে একসঙ্গে প্রথম বেছে নিয়েছিলেন তিনিই।
তিনি বলেন—
“হেমা আসার পর ধরমের জীবন বদলে যায়। ও হেমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসত।”

‘আমি জাট—লাশ না পড়লে পৌঁছব’: কথার মূল্য রাখতেন ধরম

উত্তরবঙ্গের বন্যা ত্রাণের জন্য কলকাতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বিশু। বহু তারকার সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও ধর্মেন্দ্র তাঁর প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন—
“আমি জাট। লাশ না পড়লে অনুষ্ঠানে থাকব।”
এবং সত্যিই এসেছিলেন।

শেষ দেখা—হেমার বাড়িতে

অন্ত্যেষ্টির পর হেমা মালিনীর বাড়িতে যান বিশু। সেখানে ছিলেন এষা দেওল, অভয় দেওল এবং পরিবারের অন্যান্যরা। সায়রা বানো-মধুদেরও দেখেন তিনি।
হেমা তাঁকে দেখেই বলেন—
“আপনার বন্ধু চলে গেল।”
তাঁর শান্ত কিন্তু ভিজে চোখে তখনও জমেছে শোকের পাহাড়।

আরও পড়ুন

হেমাকে বিয়ের পর ২৬ বছরের ছোট অভিনেত্রীর প্রেমে ধর্মেন্দ্র! কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী?
হেমাকে বিয়ের পর ২৬ বছরের ছোট অভিনেত্রীর প্রেমে ধর্মেন্দ্র! কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী?

জন্মদিনে দেখা হবে ভেবেছিলেন
৮ ডিসেম্বর ধর্মেন্দ্রর জন্মদিনে তাঁর বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বিশু। সম্প্রতি তাঁর পরিচালিত ‘অগ্নিযুগ: দ্য ফায়ার’ ছবির জন্য লালা লাজপত রাইয়ের চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন ধরম।
সহকারী জয়রাজের মাধ্যমে নিয়মিত খবর নিতেন বিশু। কিন্তু সোমবার সকাল বদলে দিল সব।

আরও পড়ুন
ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর প্রভাব রাম চরণ ও জাহ্নবীর কাজের উপর! শোকে স্তব্ধ বলিউড

বন্ধুর শূন্যতা—অপুরণীয়

ধর্মেন্দ্র শুধু একজন সুপারস্টার নন—ছিলেন অগাধ বন্ধুত্বের প্রতীক, সহজ-সরল হাসিখুশি মানুষ। বিশুর কথায়—
“আজকের সকালটা অন্যরকম। ধরম চলে গেল।”
হিন্দি সিনেমায় তাঁর অবদান, ব্যক্তিত্ব এবং মানবিকতার গল্প চিরকাল বেঁচে থাকবে বন্ধুদের স্মৃতিতে, ভক্তদের হৃদয়ে।

শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক