প্রেমের সুড়ঙ্গ: চার ঋতুর রঙে সাজানো ইউক্রেনের স্বপ্নপুরী পথ

ইউক্রেনের রিভনে ওবলাস্টের ক্লেভান গ্রামে প্রকৃতি যেন নিজের হাতে গড়ে তুলেছে এক অনন্য সৃষ্টি—‘টানেল অব লাভ’। চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সবুজ সুড়ঙ্গ আজ পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণ। নবদম্পতি, প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে শুরু করে সাধারণ পর্যটক—প্রেমের এই পথের মোহ কাটাতে পারেন না কেউই।

গাছের বুননে তৈরি এক স্বপ্নের করিডর
এটি কোনও পাথর কাটা টানেল বা মানুষের হাতে তৈরি সুড়ঙ্গ নয়। বহু বছর আগে রেললাইন চালুর জন্য ঘন জঙ্গল কেটে তৈরি হয়েছিল একটি সরল পথ। সময়ের সঙ্গে সেই পথের দুই ধার থেকে গাছপালা বেড়ে উঠে এমনভাবে একে অপরকে ঘিরে ফেলেছে যে পুরো পথটি দেখতে ঠিক একটি প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গের মত লাগে। ডালপালা, পাতার ঠাসবুনোট আর সবুজের চাদর—সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এক স্বর্গীয় করিডর।

এই সুড়ঙ্গ দিয়ে দিনে কয়েকবার ট্রেন চলাচল করে। আবার ট্রেন না থাকলে শান্ত পরিবেশে হাঁটতে হাঁটতে চার কিলোমিটার পথ অচিরেই কেটে যায়। পথের দু’ধারে গাছের অরণ্যের ছায়া, মাথার ওপর সবুজের ছাতা—সব মিলিয়ে যেন হাঁটা নয়, বরং এক স্বপ্নযাত্রা।

ঋতু বদলের সঙ্গে রঙ বদলানো সৌন্দর্য
টানেল অব লাভ-এর বিশেষ আকর্ষণ হল এর বহুরূপী রূপ। গ্রীষ্ম ও বসন্তে এখানে সবুজ যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। মন ভরানো সেই সবুজের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ে জাদুকরী পরিবেশ তৈরি করে।

কিন্তু বছরের অন্য সময়েও এই পথ সমান সুন্দর।
শরৎকালে পাতায় লাগে সোনালি, লাল ও কমলা রং—তখন পুরো সুড়ঙ্গ যেন রঙিন স্বপ্নের মতো লাগে।
শীতে আবার বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে গাছের পাতা, ডালপালা। বরফে মোড়া টানেল তখন হয়ে ওঠে শান্ত, নিস্তব্ধ, রূপকথার কোনও দৃশ্যের মতো।

সারা বছর পর্যটকে ভিড়
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে আসেন গাছের গড়া এই সবুজ সুড়ঙ্গ দেখার জন্য। কেউ আসেন ছবি তুলতে, কেউ রোমান্টিক মুহূর্ত কাটাতে, কেউ আবার প্রকৃতির বিশুদ্ধ সৌন্দর্য অনুভব করতে। এমনকি অনেকের বিশ্বাস, প্রেমিক-প্রেমিকা যদি এই সুড়ঙ্গ দিয়ে হাঁটার সময় কোনও ইচ্ছা করে, তবে নাকি তা নাকি পূরণও হয়!

আরও পড়ুন
ডিসেম্বরে কোন রাশির প্রেমে উষ্ণতা, কার দাম্পত্যে শীতলতা—শাস্ত্রমতের বিশদ বিশ্লেষণ

কিছু সতর্কতা
গ্রীষ্মকালে এখানে মশার উপদ্রব বেশ বেশি। তাই ওই সময় পর্যটকদের কীটনাশক ক্রিম বা উপযুক্ত সুরক্ষা সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন
WhatsApp Web–এ বড় পরিবর্তন, বাধ্যতামূলক নতুন নিয়ম

শেষকথা
চার ঋতুর রঙে আঁকা, প্রকৃতির হাতে গড়া এই জৈব সুড়ঙ্গ শুধু একটি পর্যটনকেন্দ্র নয়—এটি আসলে প্রকৃতির এক অপূর্ব শিল্পকর্ম। যেখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই মন বলে ওঠে—এ যেন সত্যিই প্রেমের সুড়ঙ্গ।

আরও পড়ুন
২০২৭ পর্যন্ত শনির আশীর্বাদ: ৫ রাশির ভাগ্য উজ্জ্বল করবে কর্মফল বিচারক শনি

শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক