মেয়ের জন্মদিনে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি অথচ আর কোনোদিনই বাড়ি ফিরতে পারবেন না বালিগঞ্জের শুভজিৎ মালি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। কর্মসূত্রে কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন। যদিও দিনকয়েক পর বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার।
তবে একমাত্র মেয়ে বায়না করেছিল তার জন্মদিনে বাড়ি ফিরতেই হবে। সেই অনুযায়ী সোমবার ফিরছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। তবে জন্মদিনের দিন সবথেকে বড়ো দুঃসংবাদ পেলো তার মেয়ে। তার জন্মদিনের আনন্দ পরিণত হয়েছে বুকফাটা আর্তনাদে।
জানা গিয়েছে শুভজিৎবাবুর পরিবারে বাবা-মা, স্ত্রী, মেয়ে এবং এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ক্লাস ফাইভে পাঠরত তার মেয়ে সৃষ্টির ১১তম জন্মদিন ছিল সোমবার। বাবাকে সে বলেছিল, ‘তোমাকে আসতেই হবে।’ বাড়িতে শুরু হয়েছিল জন্মদিনের তোড়জোড়।
তবে আর বাড়ি ফিরতে পারলেন না তিনি। এই বিষয়ে তার পিসতুতো বোন রিয়া প্রধান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘দাদার সঙ্গে একই সংস্থাতে কর্মরত স্থানীয় সূর্যশেখর পান্ডাও শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন। এদিন সকালে তিনিই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে অন্য কারো ফোন থেকে ফোন করে বাড়িতে সবটা জানান। তিনিও গুরুতর জখম।’
এই খবর শোনার পর থেকে বাড়ির কাউকেই আর সামলানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তারা সমস্ত রকমের সহায়তা করবেন। ইতিমধ্যে পরিবারের ডিটেলস নিয়ে গিয়েছেন তারা। উল্লেখযোগ্য, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ১১।