আমাদের মায়েদের রান্নাঘরে অর্থাৎ রান্নার ঝুড়িতে তাকালে অনেক ধরনের মশ লা দেখতে পাই। বিভিন্ন মসলার ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ যা খাবারের সাথে দ্বিগুণ করে তোলে। এর মধ্যেই আমরা কথা বলব গোলমরিচ সম্পর্কে। গোলমরিচের গুরুত্ব অনেকটা। গোলমরিচ যেমন রান্নার স্বাদ গুণমান বাড়ায় তেমনি অনেক শারীরিক সমস্যা দূর করে। গোলমরিচ খাবারের দিলে তার গুণগতমান অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের স্যালাড বা কোন সেদ্ধ খাবার একটু গোলমরিচের গুড়ো ছড়িয়ে দিলে তার স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। গোলমরিচের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। গোলমরিচ একটু ঝাল এবং এতে ভালোই ঝাঁঝ রয়েছে। সর্দি কাশিতে ও গোলমরিচ অনেক উপকার করে। ছাড়াও গোলমরিচের অনেক উপকারিতা রয়েছে,গোলমরিচের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে। তার ফলে বার্ধ্যকজনিত অসুখ, ভুলে যাওয়া, স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়া এইসব সমস্যা রুখে দেয় এই মশলা। মস্তিষ্ক সজাগ ও প্রখর রাখতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে
গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপকরণ যা আমাদের শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, বদহজম এইসব সমস্যা কমবে।
ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে গোলমরিচ। যাঁরা ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করছেন বুঝে, মেপে তাঁরা খাবারে যোগ করুন গোলমরিচের গুঁড়ো।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, বাড়লে কমায় গোলমরিচ। তাই এই মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। কমবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের প্রবণতা।
ক্যানসার প্রতিহত করতেও কাজে লাগে গোলমরিচ। আমাদের শরীরের কারসিনোজেনিক প্রবণতা আসতে বাধা দেয় এই মশলা। তাই রান্নায় এই উপকরণের ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্যকে ভাল রাখবে।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গোলমরিচ কাজে লাগে। তার ফলে এড়ানো যাবে পেটের সমস্যা, বদহজমের সমস্যা। এছাড়াও অতিরিক্ত খাইখাই ভাব কমাতে সাহায্য করে এই মশলা।