সদ্যোজাত যমজ সন্তানকে কোলে নিয়ে হাপুস নয়নে কাঁদছেন এক তরুণী, কারন জানলে চমকে যাবেন

সন্তান জন্মের মুহূর্ত প্রতিটি বাবা-মায়ের জীবনেই বিশেষ স্মৃতি। কিন্তু কখনও কখনও আনন্দের সেই আবেগ মুহূর্তেই বদলে যায় চরম হতাশা ও অবিশ্বাসে। সম্প্রতি ঠিক এমনই একটি ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে, যা ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

ভাইরাল ভিডিওটির শুরুতে দেখা যায়, হাসপাতালের এক কক্ষে সদ্যোজাত যমজ সন্তানকে কোলে নিয়ে হাপুস নয়নে কাঁদছেন এক তরুণী। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক তরুণ অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন নবজাতকদের দিকে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এটা কী? এরা আমার সন্তান নয়।” এরপর আরও ক্ষোভে চিৎকার করে তিনি বলেন, “ওদের ত্বক কালো, ওদের চুল কালো—ওরা আমার বাচ্চা নয়!”

তরুণের এমন প্রতিক্রিয়ায় ভেঙে পড়েন মহিলা, আরও শুরু হয় কান্না, চিৎকার ও বিশৃঙ্খলা। উপস্থিত নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদেরও পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হয়।

ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামের ‘বিয়িংমিম’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে ক্যাপশন দেওয়া—
“কালো চুল ও কালো ত্বকের যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা, দেখে বাবা হতবাক।”

তবে ভিডিওটি কোথায় বা কবে ধারণ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। ফলে এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বহু নেটাগরিক। কেউ কেউ একে নাটক বা সাজানো কনটেন্ট বলেও দাবি করেছেন।

অন্যদিকে, কিছু ব্যবহারকারী ভিডিওর নিচে জিনতত্ত্বের ব্যাখ্যা দিয়ে লিখেছেন— বাবা-মা দু’জনের ত্বক বা চুলের রং সাদা হলেও, পূর্বসূরিদের জিনের প্রভাবে সন্তানের গায়ের রং বা চুল কালো হওয়া একেবারেই সম্ভব।

ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহুবার দেখা হয়েছে, এসেছে অগণিত মন্তব্য। কেউ মজার ছলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, কেউ আবার ঘটনার আবেগময় দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে ভিডিওর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক থামেনি।

FAQ

১. ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে?
— এই বিষয়ে কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।

২. ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিরা কারা?
— তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

৩. ভিডিওটি কি সত্যিকারের ঘটনা?
— নেটাগরিকদের একাংশ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন; প্রমাণ নেই।

৪. বাবা কেন সন্তানের পরিচয় অস্বীকার করছেন?
— নবজাতকদের ত্বক ও চুলের রং দেখে তিনি অবিশ্বাস প্রকাশ করছেন।

৫. ত্বক বা চুলের রং ভিন্ন হলে কি সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক?
— বৈজ্ঞানিকভাবে এটি সম্ভব; জিনের ভিন্নতার কারণে এমন হতে পারে।

৬. ভিডিওটি কোন অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার হয়েছে?
— ইনস্টাগ্রামের ‘বিয়িংমিম’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে।

৭. ভিডিওটি কেন ভাইরাল হয়েছে?
— বাবার চিৎকার-অবিশ্বাস ও হাসপাতালের নাটকীয় দৃশ্যের কারণে।

৮. মা কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন?
— তিনি কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে।

৯. নেটাগরিকেরা কী বলছেন?
— কেউ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, কেউ মজা করছেন, কেউ সন্দেহ করছেন।

১০. এই ধরনের ভিডিও কি বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে?
— হ্যাঁ, যাচাই ছাড়া এমন ভিডিও ভুল ধারণা বাড়াতে পারে।

#ViralVideo #SocialMedia #FactCheck

শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক