সামাজিক মাধ্যমে ফের নজর কাড়লেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাঁকে ঘিরে নেটদুনিয়ায় চলছে মা হওয়ার গুঞ্জন। কখনও তাঁর ঢিলেঢালা পোশাক, কখনও আবার অনুরাগীদের তোলা ভিডিও দেখে অনুমান করা হয়েছিল—শীঘ্রই কি তবে পরিবারে নতুন অতিথি আসতে চলেছে? এর আগে বন্ধু সন্দীপের শুভেচ্ছাবার্তা ঘিরেও জোরদার হয়েছিল এমন জল্পনা। সেই সব গুজবকে বেশ বিরক্তিভাবেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন অঙ্কিতা। তবে এ বার আরেকটি ছবি পোস্ট করতেই শুরু হয়েছে নতুন করে আলোচনা।
সম্প্রতি অঙ্কিতা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একঝাঁক ছবি শেয়ার করেন, যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে একটি একরত্তিকে কোলে নিয়ে। ছবিগুলির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, “প্রিয় অদ্বৈত, আজ তোমার জীবনের বিশেষ দিন—তোমার অন্নপ্রাশন। প্রথম দাঁত ওঠা থেকে প্রথম খাবারের স্বাদ—সব মুহূর্তে তুমি আমাদের হৃদয় ভরিয়ে দিয়েছ।” ছয় মাস বয়সী অদ্বৈতকে উদ্দেশ করে তিনি আরও জানান, “তোমাকে পেয়ে আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। তুমি আমার হৃদয়ের টুকরো।”
ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনদের একাংশ আবারও ভাবতে শুরু করেন—তবে কি অদ্বৈত অঙ্কিতা ও ভিকির সন্তান? কিন্তু জল্পনা থামাতে পরিষ্কার করা হয়েছে—অদ্বৈত আসলে অঙ্কিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আদিত্য এবং নিকিতার ছেলে। শিশুর অন্নপ্রাশনের বিশেষ মুহূর্তে নিমন্ত্রিতদের সঙ্গে সময় কাটাতেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী।
বন্ধুর পরিবারের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে অঙ্কিতা লেখেন, “তোমরা যে এত সুন্দর সন্তান পেয়েছ, তার জন্য ভীষণ খুশি আমি। নিকিতা, তুমি অসাধারণ মা। আর আদি, তোমার প্রতিটি পিতৃত্বের গল্পে আমি গর্ব অনুভব করি।”
কোলের একরত্তিকে উদ্দেশ করে তাঁর বার্তা—
“কখনও তোমার মা-বাবাকে কষ্ট দিও না। ভালো মানুষ হয়ে ওঠো। তারা তোমাকে খুব ভালোবাসে এবং সারাজীবন আগলে রাখবে।”
অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে বাঙালিয়ানা লুকে ধরা দেন অঙ্কিতা—শাড়ি, গয়নাতে সজ্জিত, হাসিমুখে ছোট্ট অতিথিকে কোলে নিয়ে ছবি তুলতে দেখা যায় তাঁকে। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি অঙ্কিতার স্বামী ভিকি জৈন। পোস্টে অঙ্কিতা উল্লেখ করেন, তাঁকে বিশেষভাবে মিস করেছেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ছবিগুলি একদিকে যেমন অন্নপ্রাশনের আনন্দময় মুহূর্তকে তুলে ধরেছে, অন্যদিকে আবার নতুন করে উসকে দিয়েছে অঙ্কিতাকে ঘিরে পুরনো জল্পনা। যদিও অভিনেত্রী ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন—এখনই তাঁর মাতৃত্বের পথে হাঁটার কোনও পরিকল্পনা নেই।
তবুও তাঁর প্রতিটি পোস্টেই আলোচনার ঝড় ওঠা যেন থামছেই না।
