‘মাগো বিচার দিও’, ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লক্ষ্মীপুজো করবেন অপরাজিতা

kmc 20241014 211838 OA2jpNUe4m

দেবিপক্ষের সূচনা এইমত অবস্থায় এখনো পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি তিলোত্তমা। এর মধ্যে একটি ছোট্ট বাচ্চার সঙ্গে আবার একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটলো এত কিছুর মধ্যে কিভাবে পুজোর ঘটা করে উদযাপন সমর্পণ করবেন তার সম্মুখ হয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য। সবাই ভেবেছিলেন হয়তো তিনি এবার লক্ষ্মীপূজো করা থেকে বিরত হবেন, কিন্তু তিনি নাকি উদযাপন করবেন। উদযাপন করার উদ্দেশ্য হলো ঘরের লক্ষীর বিচার পাওয়া।

এত ভয়াবহ দুর্বিষহ ঘটনা ঘটে যাবার পরেও সবাই কিন্তু পুজোয় সেভাবে অংশ নেননি। ঠিক একই ভাবে অপরাজিতা তিনিও প্যান্ডেল উপস্থিত ছিলেন তবুও কোন সিঁদুর খেলা বা অন্যান্য কোন আনন্দের পরিবেশে অংশগ্রহণ করেননি। যার মুখে সদাই হাসি লেগে থাকে তার মুখে হাসির বলিরেখা টুকু দেখা যায়নি। বাঙালির উৎসব দুর্গা উৎসব সেখানেই তিনি নিজেকে কোন রকমে প্রস্তুত করেছিলেন কিন্তু দুদিন পরেই আসছে লক্ষ্মীপুজো সেটা তো করতেই হবে। যেহেতু তিনি ঘরের লক্ষী, বিয়ে হ‌ওয়ার পরের থেকেই তিনি প্রতিবার নিজে পুজো করেন এবারও ঠিক তেমনি পুজো করবেন কিন্তু তেমন ভাবে ঘটা করে নয়। তার মনটা এতটাই ভারাক্রান্ত হয়েছে এই পরিস্থিতিতে তিনি বললেন মা আমার ঘরে অবশ্যই আসবেন কিন্তু সাদামাটা ভাবে কোন চাকচিক্য থাকবে না তার মধ্যে।

দেবিপক্ষে আগে থেকেই আমাদের ঘরের মা লক্ষ্মী মা দুর্গা অপেক্ষায় আছে অভয়ার বিচারের উদ্দেশ্যে কবে সে বিচার পাবে। আর আমাদের ঘরের লক্ষীরা নিশ্চিন্তে বাড়ির বাইরে বেরোনোর সাহস পাবে। দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তারেরা অনশন করে আছে বিচারের উদ্দেশ্যে আজও কোন বিচার হলো না এইসব কারণে অপরাজিতার মন ভারাক্রান্ত কিভাবে তিনি অংশগ্রহণ করবেন এই পুজোয় সেটাই তার মনে বড় প্রশ্ন।

তিনি কিছু প্রশ্ন করেছেন যেমন “আমরা এমন সময়ের সম্মুখীন হয়েছি যখন আমাদের ঘরের লক্ষীরা আত্ম লড়াই বুকে বেঁধেছে”। তিনি আরো বলেছেন’ প্রতিরাতে তারা রাজপথ প্রশ্ন চিন্তা করেছে”। প্রতিরাতে রাজপথ দখল করার পরেও লক্ষ্মীরা যখন বিচার পায়নি সেখানে পুজো উদযাপন অর্থপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, যেহেতু আমি একটি বাড়ির ঘরের লক্ষী সেহেতু আমি পুজো থামাতে পারবো না। পুজো করবো কিন্তু ছোটখাটো করে কোনমতে এটা না করলেই নয়। দেবীর কাছে আমার একটাই প্রার্থনা মাগো বিচার দিও।