বিহারে সামনেই রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আর তারই আগে সেখানে ‘এই আই আর’ অর্থাৎ ‘বিশেষ নিবিড় পরীক্ষা’ শুরু করা হয়েছে। কারা রাজ্যের প্রকৃত ভোটার ও কারা নয় তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এরই মাঝে একটি কুকুরকে বিহারের তরফে দেওয়া হয়েছে স্থায়ীভাবে বসবাস করার শংসাপত্র অথবা রেসিডেন্স সার্টিফিকেট। জানা যাচ্ছে, ওই শংসাপত্রে কুকুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ‘ডগ বাবু’ হিসেবে। সেইসঙ্গে কুকুরটির একটি ছবিও রয়েছে। ওই শংসাপত্রে ‘ডগ বাবু’-র বাবা মায়ের নামও রয়েছে।
বিহারে যে ‘এস আই আর’ হচ্ছে তার জন্য ১১টি নথির ভিত্তিতে বৈধ ভোটার বাছাই পর্ব চলছে। এই ১১টি নথির মধ্যে একটি নথি হলো রেসিডেন্স সার্টিফিকেট। এরই মাঝে রেসিডেন্স সার্টিফিকেটে কুকুরের ছবি ও ঠিকানা ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিহারের রাজ্য রাজনীতিতে। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনে সরব হয়েছেন বিহারের পূর্ণিয়ার সাংসদ পাপ্পু যাদব। তার কথায়, “মানুষ স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র পাচ্ছে না, এদিকে কুকুরকে তা দেওয়া হচ্ছে। এটিই আমার মহান ভারত।”
রেসিডেন্স সার্টিফিকেটের ডান দিকে রয়েছে একটি কুকুরের ছবি। তবে শুধু তাই নয়, শংসাপত্রে লেখা রয়েছে ‘ডগ বাবু’ পটনা জেলার কৌলিচক এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার বাবা মায়ের নামও রয়েছে শংসাপত্রে। ওই শংসাপত্রে বিহার সরকারের সিলমোহর সহ আঞ্চলিক অফিসের রাজস্ব আধিকারিক মুরারী চৌহানের ডিজিটাল স্বাক্ষর রয়েছে।
বিহারে বিরোধীদের অভিযোগ, বৈধ ভোটারদের ছাটাই করে অবৈধ ভোটার তালিকায় আনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিহারের পূর্ণিয়ার সাংসদ পাপ্পু যাদব। কুকুরের রেসিডেন্স সার্টিফিকেট তৈরি হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাবদিহি চান। ‘বিষয়টি গুরুতর’ এমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পটনার জেলাশাসক ত্যাগরাজন এসএম। এর পাশাপাশি কাদের জন্য এত বড় একটি ভুল হল সে বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ওই ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিদের তিনি সাসপেন্ড করবেন বলেও জানিয়েছেন। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে সাইবার সেলের।